মায়েলোমা হল একটি ধরনের ক্যান্সার যা শরীরের প্লাজমা সেলের উপর প্রভাব ফেলে। প্লাজমা সেলগুলি আমাদের ইমিউন সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি করে। মায়েলোমা হলে, এই সেলগুলি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং স্বাভাবিক সেলগুলির কার্যকারিতাকে ব্যাহত করে।
মায়েলোমার প্রকারভেদ
মায়েলোমা প্রধানত দুটি প্রকারের হয়ে থাকে:
- মাল্টিপল মায়েলোমা: এটি সবচেয়ে সাধারণ প্রকার, যেখানে শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্লাজমা সেলগুলি বৃদ্ধি পায়।
- সলিটারি প্লাজমা সেল টিউমার: এই প্রকারে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে টিউমার গঠিত হয়।
মায়েলোমার লক্ষণ এবং উপসর্গ
মায়েলোমার লক্ষণগুলি বিভিন্ন রকমের হতে পারে এবং সাধারণত নিম্নলিখিত উপসর্গগুলি অন্তর্ভুক্ত করে:
- অস্বাভাবিক ক্লান্তি
- হাড়ের ব্যথা
- বার বার সংক্রমণ হওয়া
- রক্তে ক্যালসিয়ামের বাড়তি মাত্রা
মায়েলোমার কারণ এবং ঝুঁকি ফ্যাক্টর
মায়েলোমার সঠিক কারণ এখনও সম্পূর্ণরূপে বোঝা যায়নি, তবে কিছু ঝুঁকি ফ্যাক্টর রয়েছে যা বোঝা যায়:
- বয়স: সাধারণত ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি।
- পরিবারিক ইতিহাস: যদি পরিবারের কেউ এই রোগে আক্রান্ত হন, তবে ঝুঁকি বাড়ে।
- কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা: যেমন অটোইমিউন ডিজিজ।
মায়েলোমার চিকিৎসা পদ্ধতি
মায়েলোমার চিকিৎসার পদ্ধতি রোগের স্তর এবং রোগীর সাধারণ স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। চিকিৎসা পদ্ধতিগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:
- কেমোথেরাপি: ক্যান্সার সেলগুলি মেরে ফেলার জন্য বিশেষ ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
- রেডিয়েশন থেরাপি: আক্রান্ত স্থানে রেডিয়েশন প্রয়োগ করা হয়।
- স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট: রোগীর স্বাস্থ্য ফেরানোর জন্য নতুন প্লাজমা সেলগুলির ব্যবহার।
উপসংহার
মায়েলোমা একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও এটি সঠিক সময়ে সনাক্ত করা এবং চিকিৎসা করা হলে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যেকোনো সন্দেহ হলে ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। সঠিক চিকিৎসা এবং যত্নের মাধ্যমে রোগীরা তাদের জীবনযাত্রা অনেকটাই উন্নত করতে পারেন।