Tumor কি ?

টিউমার হল মানবদেহের কোষগুলির অস্বাভাবিক এবং অপ্রয়োজনীয় বৃদ্ধি। এই বৃদ্ধি সাধারণত একটি কনসার্ট বা গঠন তৈরি করে, যা স্বাভাবিক টিস্যুর সাথে তুলনা করা হলে আলাদা হয়। টিউমারগুলি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে এবং এগুলি সাধারণত দুই প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা হয়: মালিগন্যান্ট (ক্যান্সার) এবং বেনাইন (অবৈকলন)

টিউমারের প্রকারভেদ

টিউমারগুলি প্রধানত দুই ধরনের হয়:

  1. বেনাইন টিউমার:
  2. এগুলি সাধারণত বিপজ্জনক নয় এবং সাধারণত শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে না।
  3. উদাহরণস্বরূপ, ফাইবোড্রোমা বা অ্যাডিনোমা।

  4. মালিগন্যান্ট টিউমার:

  5. এগুলি ক্যান্সারের রূপ নেয় এবং শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  6. এই ধরনের টিউমারগুলি বিপজ্জনক এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

টিউমারের কারণ

টিউমার গঠনের কারণগুলি বিভিন্ন হতে পারে, যেমন:

  • জিনগত কারণ: কিছু টিউমার জিনগতভাবে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া যায়।
  • পরিবেশগত কারণ: ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান, ওজন বৃদ্ধি, এবং কিছু রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসা।
  • সংক্রামক রোগ: কিছু ভাইরাস যেমন হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

টিউমারের লক্ষণ

টিউমার শনাক্ত করার কিছু সাধারণ লক্ষণ হল:

  • অস্বাভাবিক ফোলা বা গঠন
  • ব্যথা
  • অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস
  • ক্লান্তি
  • রক্তপাত বা স্রাব

চিকিৎসা পদ্ধতি

টিউমারের চিকিৎসা সাধারণত আক্রান্ত টিউমারের প্রকার, অবস্থান এবং স্তরের উপর নির্ভর করে। সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি অন্তর্ভুক্ত করে:

  • সার্জারি: টিউমার অপসারণের জন্য।
  • রেডিওথেরাপি: টিউমার কোষ ধ্বংস করতে রেডিয়েশন ব্যবহার করা হয়।
  • কেমোথেরাপি: ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে ঔষধ ব্যবহার করা হয়।

সতর্কতা এবং প্রতিরোধ

টিউমারের ঝুঁকি কমানোর জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত:

  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ
  • নিয়মিত ব্যায়াম
  • ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়ানো
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

উপসংহার

টিউমার একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা, তবে সঠিক সময়ে শনাক্ত ও চিকিৎসা করলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা টিউমারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।

Leave a Comment