টিউমার হলো শরীরের কোষগুলোর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। সাধারণত, আমাদের শরীরে কোষগুলো নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি ও মারা যায়। কিন্তু কখনো কখনো কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং একটি মেসে পরিণত হয়, যা টিউমার নামে পরিচিত। টিউমার দুই প্রকারের হতে পারে: নি:শঙ্ক টিউমার এবং ম্যালিগন্যান্ট টিউমার।
নি:শঙ্ক টিউমার সাধারণত অস্বাস্থ্যকর না এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে না। অন্যদিকে, ম্যালিগন্যান্ট টিউমার ক্যান্সারের মতো হতে পারে এবং এটি অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
টিউমারের ধরনসমূহ
টিউমার সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কোষ থেকে তৈরি হয় এবং তাদের ভিত্তিতে তাদের বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগ করা হয়।
১. বেনাইন টিউমার
বেনাইন টিউমার সাধারণত অক্ষত থাকে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে না। এগুলো সাধারণত অপারেশনের মাধ্যমে সরানো সম্ভব।
২. ম্যালিগন্যান্ট টিউমার
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার ক্যান্সারজনিত এবং এটি অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটি জীবনকে বিপন্ন করতে পারে এবং চিকিৎসা প্রয়োজন।
টিউমারের লক্ষণ
টিউমার শনাক্ত করা প্রায়শই তাদের অবস্থান এবং প্রকারভেদে নির্ভর করে। কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:
- অস্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধি
- ব্যথা
- অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস
- শক্তি হ্রাস
চিকিৎসা
টিউমারের চিকিৎসা প্রকারভেদ এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে। সাধারণত চিকিৎসা পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:
- সার্জারি: টিউমার অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার।
- রেডিওথেরাপি: উচ্চ শক্তির রশ্মি ব্যবহার করে টিউমার ধ্বংস করা।
- কেমোথেরাপি: ক্যান্সার কোষগুলোর বৃদ্ধিকে রোধ করার জন্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা।
প্রতিরোধ এবং সচেতনতা
টিউমার প্রতিরোধের জন্য জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন সহায়ক হতে পারে, যেমন:
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: ফল ও সবজির মধ্যে বেশি থাকা।
- নিয়মিত ব্যায়াম: শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
- মদ্যপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকা: এগুলো টিউমারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
মোটকথা, টিউমার একটি জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা এবং এর প্রতি সচেতনতা ও প্রাথমিক চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।