Ibid অর্থ কি ?

“Ibid” হল একটি ল্যাটিন শব্দ যা “ibidem” থেকে এসেছে, যার অর্থ “সেখানে” বা “সেই জায়গায়”। এই শব্দটি সাধারণত একাডেমিক লেখায় ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে নথি বা গবেষণাপত্রে, যেখানে একটি উক্তি বা তথ্যের উৎস পুনরায় উল্লেখ করার প্রয়োজন হয়।

Ibid-এর ব্যবহার

১. উৎস পুনরাবৃত্তি:
যখন লেখক একটি উত্স থেকে একাধিকবার তথ্য উল্লেখ করেন, তখন প্রথমবার উত্সের পূর্ণ বিবরণ দেওয়ার পর, পরবর্তী উল্লেখগুলিতে “ibid” ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি প্রথমবার একটি বইয়ের সম্পূর্ণ তথ্য উল্লেখ করেন, তাহলে পরবর্তীবার সেই বইয়ের পৃষ্ঠার সংখ্যা উল্লেখ করতে “Ibid” ব্যবহার করতে পারেন।

২. উত্সের সাপেক্ষে:
Ibid ব্যবহার করার সময় এটি উল্লেখ করতে হবে যে, এটি পূর্ববর্তী উত্সের সাথে সম্পর্কিত। সাধারণত, এটি একাধিক বার ব্যবহৃত হয় যখন লেখক একই উত্স থেকে তথ্য নেন।

Ibid-এর সুবিধা

১. সংক্ষিপ্ততা:
“Ibid” ব্যবহারের মাধ্যমে লেখক তথ্যের উৎসকে সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করতে পারেন, যা পাঠকের জন্য লেখাটিকে আরও পরিষ্কার এবং সহজবোধ্য করে।

২. পঠনযোগ্যতা বৃদ্ধি:
সঠিকভাবে “ibid” ব্যবহার করলে লেখার পঠনযোগ্যতা বৃদ্ধি পায় এবং পাঠক সহজেই উৎসগুলির মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে পারে।

উদাহরণ

একটি উদাহরণ হিসাবে ধরুন:

  1. জনসন, পিটার। বিজ্ঞান ও সমাজ। নিউ ইয়র্ক: একাডেমিক প্রেস, ২০২০, পৃষ্ঠা ৫৩।
  2. Ibid, পৃষ্ঠা ৫৫।
  3. Ibid, পৃষ্ঠা ৬০।

এখানে, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় উক্তিতে “Ibid” ব্যবহৃত হয়েছে, যা নির্দেশ করে যে উক্তি একই উত্স থেকে এসেছে, শুধুমাত্র পৃষ্ঠা পরিবর্তন হয়েছে।

সতর্কতা

Ibid ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে:

  • বিভিন্ন উৎস: যদি লেখক বিভিন্ন উত্স থেকে তথ্য ব্যবহার করেন, তবে “ibid” ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • পুনরাবৃত্তির সংখ্যা: একাধিক “ibid” ব্যবহার করা হলে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকা উচিত, যাতে পাঠক বিভ্রান্ত না হন।

উপসংহার

“Ibid” হল একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল যা একাডেমিক লেখায় তথ্যের উৎস উল্লেখে সাহায্য করে। এটি লেখকের কাজকে আরও প্রফেশনাল এবং সংগঠিত করে তোলে। সঠিকভাবে “ibid” ব্যবহার করলে লেখক তাদের কাজের মান বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন।

Leave a Comment