এডিএইচডি (ADHD) বা মনোযোগ ঘাটতির হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার হলো একটি সাধারণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যা সাধারণত শিশুদের মধ্যে দেখা যায় কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও থাকতে পারে। এটি সাধারণত তিনটি প্রধান লক্ষণ দ্বারা চিহ্নিত হয়: মনোযোগের অভাব, অতিরিক্ত গতিশীলতা এবং আচরণের নিয়ন্ত্রণহীনতা। এই লক্ষণগুলি ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবন এবং কার্যকলাপে প্রভাব ফেলতে পারে।
এডিএইচডির প্রকারভেদ
এডিএইচডি সাধারণত তিনটি প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়:
মনোযোগের অভাব: এই প্রকারের ক্ষেত্রে ব্যক্তি সাধারণত কাজের প্রতি মনোযোগ দিতে পারে না, সহজেই বিভ্রান্ত হয় এবং কাজ সম্পন্ন করতে সমস্যা অনুভব করে।
হাইপারঅ্যাকটিভিটি: এই উপসর্গে ব্যক্তি সাধারণত অতিরিক্ত গতিশীল থাকে, স্থির থাকতে পারে না এবং প্রায়শই অস্থিরতা অনুভব করে।
আচরণ নিয়ন্ত্রণের অভাব: এই ক্ষেত্রে ব্যক্তি প্রায়শই বিধি-নিষেধের প্রতি অমান্য করে এবং তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা অনুভব করে।
এডিএইচডির কারণ
এডিএইচডির সঠিক কারণ এখনও সম্পূর্ণরূপে বোঝা যায়নি, তবে কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণা জানায় যে এটি জেনেটিক, পরিবেশগত এবং নিউরোবায়োলজিক্যাল কারণের সমন্বয়ে হতে পারে। পরিবারের ইতিহাস, জন্মের সময় জটিলতা এবং পরিবেশগত বিষাক্ততা এই সমস্যার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।
লক্ষণ এবং উপসর্গ
এডিএইচডির লক্ষণগুলি বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে ভিন্ন হতে পারে, তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ অন্তর্ভুক্ত:
- কাজের প্রতি মনোযোগের অভাব
- সহজেই বিভ্রান্ত হওয়া
- অতিরিক্ত কথা বলা
- স্থির থাকতে অক্ষমতা
- অস্থিরতা অনুভব করা
চিকিৎসা এবং ব্যবস্থাপনা
এডিএইচডির চিকিৎসা প্রায়শই ওষুধ এবং আচরণগত থেরাপির সমন্বয়ে হয়ে থাকে। চিকিৎসা পরিকল্পনা ব্যক্তির নির্দিষ্ট উপসর্গ এবং প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য সঠিক নির্দেশনা এবং সহায়তা প্রদান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার
এডিএইচডি একটি জটিল কিন্তু সাধারণ রোগ যা সঠিক পরিচর্যা এবং চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। যারা এই রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য সচেতনতা, সহানুভূতি এবং সমর্থন অপরিহার্য।