বাক্যে বিশেষ্য বা বিশেষ্যবাচক শব্দের গুণ, অবস্থা বা পরিমাণ বোঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এমন শব্দকে অ্যাডজেকটিভ বা বিশেষণ বলে। এই শব্দগুলো সাধারণত বিশেষ্য বা বিশেষ্যবাচক শব্দের আগে বসে তাদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
অ্যাডজেকটিভের প্রকারভেদ
অ্যাডজেকটিভ বিভিন্ন প্রকারে বিভক্ত করা যায়। নিচে কিছু প্রধান প্রকারের কথা আলোচনা করা হলো:
গুণবাচক বিশেষণ: যা কোন কিছুর গুণ বা বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে, যেমন “সুন্দর”, “মেধাবী”, “বুদ্ধিমান” ইত্যাদি।
অবস্থাবাচক বিশেষণ: যা কোন কিছুর অবস্থা বা পরিস্থিতি বোঝায়, যেমন “খুশি”, “দুঃখিত”, “শান্ত” ইত্যাদি।
পরিমাণবাচক বিশেষণ: যা কোন কিছুর পরিমাণ নির্দেশ করে, যেমন “কিছু”, “সব”, “অনেক” ইত্যাদি।
অ্যাডজেকটিভের ব্যবহার
অ্যাডজেকটিভ ব্যবহারের মাধ্যমে বাক্যের অর্থ আরও স্পষ্ট ও বিস্তারিত হয়ে ওঠে। উদাহরণস্বরূপ, “ছেলে” শব্দটি যদি “সুন্দর ছেলে” বলা হয়, তাহলে ছেলেটির গুণ সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়।
অ্যাডজেকটিভের অবস্থান
বাক্যে অ্যাডজেকটিভ সাধারণত বিশেষ্য বা বিশেষ্যবাচক শব্দের আগে বসে। তবে কখনো কখনো এটি পরে থাকতেও পারে, বিশেষত যখন এটি বিশেষণের রূপে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ দিয়ে বুঝা
- সুন্দর ফুল (এখানে “সুন্দর” একটি গুণবাচক বিশেষণ)
- খুশি মানুষ (এখানে “খুশি” একটি অবস্থাবাচক বিশেষণ)
- অনেক বই (এখানে “অনেক” একটি পরিমাণবাচক বিশেষণ)
অ্যাডজেকটিভ আমাদের ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা বাক্যের সৌন্দর্য ও অর্থকে বৃদ্ধি করে।