ব্রেক্সিট শব্দটি মূলত “ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়া” বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে যুক্তরাজ্য (UK) ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) থেকে আলাদা হয়েছে। 2016 সালে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ বজায় রাখার অথবা তা ত্যাগ করার বিষয়ে ভোট দেন। ভোটের ফলাফল ছিল 52% ব্রেক্সিট সমর্থনে এবং 48% এর বিপরীতে।
ব্রেক্সিটের প্রভাবে সমাজ ও অর্থনীতি
ব্রেক্সিটের ফলে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটেছে। এর ফলে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, আইন এবং সামাজিক নীতিতে বিভিন্ন পরিবর্তন এসেছে। উদাহরণস্বরূপ:
অর্থনৈতিক প্রভাব: ব্রেক্সিটের ফলে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, যেমন বিনিয়োগের হ্রাস এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের পরিবর্তন।
সামাজিক পরিবর্তন: ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের জন্য যুক্তরাজ্যে বসবাস ও কাজ করার নিয়মকানুন পরিবর্তিত হয়েছে, যা অনেক অভিবাসীর জন্য নতুন বাধা সৃষ্টি করেছে।
রাজনৈতিক প্রভাব: ব্রেক্সিটের ফলে যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি পরিবর্তিত হয়েছে। স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে জাতীয়তাবাদী অনুভূতি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা তাদের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু করেছে।
ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ
ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্য কিভাবে তার ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে, সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। সরকারের নীতিমালা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং অভিবাসন নীতির উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
বাণিজ্য চুক্তি: যুক্তরাজ্য নতুন বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের চেষ্টা করছে, যাতে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করা যায়।
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: ব্রেক্সিটের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিভাবে পরিবর্তিত হবে, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ব্রেক্সিটের প্রভাব এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলতে থাকবে, এবং এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আলোচনার একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।