চোলেসিস্টাইটিস হলো গলব্লাডারের সংক্রমণ বা প্রদাহ। এটি সাধারণত গলব্লাডারের মধ্যে পাথর বা কণা থাকার কারণে ঘটে, যা গলব্লাডারের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে। এই অবস্থা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এবং দ্রুত চিকিত্সা প্রয়োজন।
চোলেসিস্টাইটিসের লক্ষণ ও উপসর্গ
চোলেসিস্টাইটিসের কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:
- পেটের ডান দিকের তীব্র ব্যথা: বিশেষ করে, খাওয়ার পর ব্যথার তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।
- জ্বর: শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
- বমি ও বমির বোধ: অনেক সময় রোগীরা বমি অনুভব করেন।
- পেট ফুলে যাওয়া: এই অবস্থায় পেট ফুলে যেতে পারে।
চোলেসিস্টাইটিসের কারণ
চোলেসিস্টাইটিসের প্রধান কারণ হলো:
- গলব্লাডারে পাথর: এটি সবচেয়ে সাধারণ কারণ।
- গলব্লাডারের সংক্রমণ: ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণও এর জন্য দায়ী হতে পারে।
- গলব্লাডারের টিউমার: কিছু ক্ষেত্রেও টিউমার গলব্লাডারের কার্যক্রমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
চিকিত্সা ও ব্যবস্থাপনা
চোলেসিস্টাইটিসের চিকিত্সা সাধারণত হাসপাতালের মাধ্যমে করা হয়। চিকিৎসা পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে:
- অ্যান্টিবায়োটিক: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- সার্জারি: যদি গলব্লাডারে পাথর থাকে বা আক্রান্ত হয়, তাহলে সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে।
পুনরুদ্ধার ও প্রতিরোধ
চোলেসিস্টাইটিস থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: চর্বি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়ানো উচিত।
- নিয়মিত ব্যায়াম: ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করা: এটি গলব্লাডারের সঠিক কার্যক্রমে সাহায্য করে।
চোলেসিস্টাইটিস একটি গুরুতর অবস্থা হতে পারে, তাই লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।