Cholesterol কি ?

কলেস্টেরল একটি প্রকারের চর্বি যা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের শরীরের কোষের গঠন এবং কাজের জন্য অপরিহার্য। তবে, অতিরিক্ত কলেস্টেরল শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

কলেস্টেরলের প্রকারভেদ

কলেস্টেরল প্রধানত দুই ধরনের:

  1. এলডিএল (LDL): এটি “খারাপ” কলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত। শরীরে এর অতিরিক্ত পরিমাণ থাকলে এটি আর্টারিতে জমা হতে পারে, ফলে হার্টের সমস্যার সম্ভাবনা বাড়ে।

  2. এইচডিএল (HDL): এটি “ভাল” কলেস্টেরল। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত LDL কলেস্টেরল অপসারণে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

কলেস্টেরলের স্তর কিভাবে মাপা হয়?

কলেস্টেরলের স্তর নির্ধারণ করতে সাধারণত একটি রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষায় এলডিএল, এইচডিএল এবং মোট কলেস্টেরলের স্তর জানা যায়।

কলেস্টেরল কমানোর উপায়

  • সঠিক খাদ্যাভ্যাস: পুষ্টিকর খাবার যেমন ফল, শাকসবজি, ওটস এবং বাদাম খেলে কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
  • ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করলে HDL এর পরিমাণ বাড়তে পারে এবং LDL কমতে পারে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন কমালে কলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন

কলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এছাড়া, ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ওষুধ ব্যবহার করাও উপকারী হতে পারে।

সার্বিকভাবে, কলেস্টেরল আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এর অতিরিক্ত পরিমাণ হৃদরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই সঠিক স্তরে রাখার প্রচেষ্টা আমাদের সকলের জন্য অপরিহার্য।

Leave a Comment