Cyst হলো একটি শূন্যস্থান বা পকেট যা শরীরের মধ্যে বা তার বাইরের টিস্যুর মধ্যে তৈরি হতে পারে। সাধারণত, এটি তরল, গ্যাস বা কঠিন পদার্থে পূর্ণ থাকে। সিস্টগুলি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে এবং তাদের কারণ, অবস্থান এবং লক্ষণ ভিন্ন হতে পারে।
সিস্টের প্রকারভেদ
সিস্টকে সাধারণত বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। নিচে কিছু সাধারণ প্রকারের সিস্ট উল্লেখ করা হলো:
- ব্রঙ্কিয়াল সিস্ট: এই ধরনের সিস্ট সাধারণত শ্বাসতন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত।
- অ্যাক্সিলারি সিস্ট: এটি সাধারণত বাহুর নিচে দেখা যায়।
- পিলোনিডাল সিস্ট: এই সিস্ট সাধারণত পিঠের নিচের অংশে দেখা যায়।
- ডার্ময়েড সিস্ট: এই ধরনের সিস্ট ত্বকে দেখা যায় এবং এটি কখনও কখনও ত্বকের কোষ থেকে তৈরি হয়।
সিস্টের কারণগুলি
সিস্ট তৈরীর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন:
- জিনগত সমস্যা: কিছু সিস্ট বংশগত হতে পারে।
- সংক্রমণ: সংক্রমণের কারণে সিস্ট তৈরি হতে পারে।
- মেটাবলিক সমস্যা: শরীরের মেটাবলিজমে সমস্যা হলে সিস্ট হতে পারে।
লক্ষণ ও চিকিৎসা
সিস্টের লক্ষণ সাধারণত সিস্টের অবস্থান ও আকারের উপর নির্ভর করে। কিছু সিস্টে কোনো লক্ষণ দেখা নাও দিতে পারে, তবে যদি সিস্ট বড় হয় বা সংক্রমিত হয়, তাহলে তীব্র ব্যথা ও অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে, সিস্টের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়, যা হতে পারে:
- নজরদারি: যদি সিস্ট ক্ষতিকারক না হয় তবে চিকিৎসা না করেও রাখা যেতে পারে।
- সার্জারি: যদি সিস্ট বড় বা ব্যথাদায়ক হয়, তবে অস্ত্রোপচার করে তা অপসারণ করা হতে পারে।
উপসংহার
সিস্ট সাধারণত বিপজ্জনক নয়, তবে সঠিক চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। যদি কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করা উচিত।