Dysmenorrhea হল ঋতুস্রাবের সময়ে অনুভূত ব্যথা বা অস্বস্তি। এটি সাধারণত মহিলাদের মধ্যে ঘটে এবং বিভিন্ন মাত্রায় হতে পারে—কিছু মহিলা সামান্য অস্বস্তি অনুভব করেন, আবার অন্যরা তীব্র ব্যথার সম্মুখীন হন। Dysmenorrhea-কে মূলত দুই ধরনের ভাগে বিভক্ত করা যায়:
1. প্রাথমিক Dysmenorrhea:
এটি সাধারণত অল্প বয়সী মহিলাদের মধ্যে দেখা যায় এবং এর জন্য কোনও গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যা থাকে না। এটি সাধারণত ঋতুস্রাব শুরুর প্রথম দিনগুলোতে ঘটে এবং সাধারণত ২ থেকে ৩ দিন স্থায়ী হয়। এই ধরনের ব্যথা সাধারণত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হয়।
2. গৌণ Dysmenorrhea:
এই ধরনের Dysmenorrhea সাধারণত কোনও নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে ঘটে, যেমন অ্যান্ডোমেট্রিওসিস, ফাইব্রয়েড বা পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ (PID)। এই ধরনের ব্যথা সাধারণত ঋতুস্রাবের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়ে আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়।
Dysmenorrhea এর কারণসমূহ
Dysmenorrhea এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যার মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ উল্লেখ করা হলো:
- হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: হরমোনের পরিবর্তন ব্যথার অনুভূতি বাড়াতে পারে।
- পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ: এটি একটি সংক্রমণ যা মহিলা প্রজনন অঙ্গকে প্রভাবিত করে।
- অ্যান্ডোমেট্রিওসিস: এই অবস্থায়, জরায়ুর বাইরের টিস্যু জরায়ুর ভিতরে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
Dysmenorrhea এর লক্ষণ
Dysmenorrhea এর লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- তীব্র বা মাঝারি পেটের ব্যথা
- পিঠে ব্যথা
- মাথাব্যথা
- বমি বমি ভাব বা বমি
Dysmenorrhea এর চিকিৎসা
Dysmenorrhea এর চিকিৎসায় সাধারণত বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, যেমন:
- ওভার-দ্য-কাউন্টার পেইন রিলিভারস: যেমন আইবুপ্রোফেন বা ন্যাপ্রোক্সেন।
- হরমোনাল কন্ট্রাসেপটিভস: এই ধরনের চিকিৎসা হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- লাইফস্টাইল পরিবর্তন: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম সাহায্য করতে পারে।
Dysmenorrhea একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, এটি যদি খুব বেশী তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।