Gfr কি ?

GFR বা Glomerular Filtration Rate হল একটি গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল প্যারামিটার যা কিডনির কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করে। এটি কিডনির মাধ্যমে রক্তের ফিল্টারিং ক্ষমতা বোঝায় এবং এটি কিডনি রোগের পর্যায় নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। GFR এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, কিডনি কত দ্রুত এবং কার্যকরভাবে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরল রক্ত থেকে ফিল্টার করছে।

GFR এর গুরুত্ব

GFR মাপার মাধ্যমে চিকিৎসকরা রোগীর কিডনির স্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এটি কিডনির ক্ষতির পর্যায় এবং চিকিত্সার প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণে সহায়ক।

GFR নির্ধারণের পদ্ধতি

GFR নির্ধারণের জন্য সাধারণত দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়:

  1. ক্রিয়েটিনাইন লেভেল: রক্তে ক্রিয়েটিনাইন এর স্তর মাপা হয়। এটি কিডনির কার্যক্ষমতার একটি সূচক।

  2. পেশী ভর: পেশী ভরের উপর ভিত্তি করে GFR গণনা করা হয়। কারণ পেশী ভর বাড়ানোর সাথে সাথে ক্রিয়েটিনাইন উৎপাদনও বাড়ে।

GFR এর স্বাভাবিক মাত্রা

স্বাভাবিক GFR এর পরিসীমা প্রায় 90-120 মিলি/মিনিট। এর চেয়ে কম GFR নির্দেশ করে যে কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

GFR কমলে কি হয়?

যদি GFR কমে যায়, তবে এটি কিডনি রোগের একটি সূচক হতে পারে। কিডনি রোগের বিভিন্ন পর্যায় থাকে, যা GFR এর মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়।

GFR বৃদ্ধি করার উপায়

GFR বৃদ্ধি করার জন্য কিছু জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা যেতে পারে, যেমন:

  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ
  • পর্যাপ্ত পানি পান
  • নিয়মিত ব্যায়াম
  • ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করা

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা

GFR কমে গেলে চিকিৎসকরা বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ওষুধের মাধ্যমে রোগীর কিডনির স্বাস্থ্য উন্নত করার চেষ্টা করেন।

উপসংহার

GFR হল একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক যা কিডনির স্বাস্থ্য এবং কার্যক্ষমতা নির্ধারণে সাহায্য করে। এটি সময়মতো শনাক্ত করা এবং যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করা কিডনি স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Comment