OCR বা অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন হলো একটি প্রযুক্তি যা ইমেজ থেকে টেক্সট সনাক্ত এবং রূপান্তর করে। এটি সাধারণত স্ক্যান করা ডকুমেন্ট, ফটো, বা কোনো ইমেজ থেকে লেখা বের করতে ব্যবহৃত হয়। OCR প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন ডিজিটাল আর্কাইভিং, ডেটা এন্ট্রি, এবং তথ্য পুনরুদ্ধার।
OCR-এর কার্যপদ্ধতি
OCR প্রযুক্তি মূলত তিনটি ধাপে কাজ করে:
ইমেজ প্রিপ্রসেসিং: প্রথমে ইমেজটি পরিষ্কার করা হয় যাতে তাতে কোনো অবাঞ্ছিত শব্দ বা গোলমাল না থাকে। এই পর্যায়ে, ইমেজের গুণমান বাড়ানো হয়।
ক্যারেক্টার রিকগনিশন: এই পর্যায়ে, সফটওয়্যার বিভিন্ন ক্যারেক্টারকে শনাক্ত করে এবং তাদের ডিজিটাল টেক্সটে রূপান্তর করে। এটি সাধারণত প্যাটার্ন রিকগনিশন বা ফিচার-বেজড মেথড ব্যবহার করে।
পোস্ট-প্রসেসিং: শেষ পর্যায়ে, রূপান্তরিত টেক্সটের ভুলগুলো ঠিক করা হয় এবং ফর্ম্যাটিং করা হয়।
OCR-এর প্রয়োগ
- ডিজিটাল আর্কাইভিং: বই, পত্রিকা ও অন্যান্য ডকুমেন্টের ডিজিটাল সংস্করণ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
- ডেটা এন্ট্রি: ম্যানুয়াল ডেটা এন্ট্রির পরিবর্তে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেটা সংগ্রহ করতে সহায়তা করে।
- ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া: ইনভয়েস, চেক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টের তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত হয়।
OCR এর সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধাসমূহ:
- দ্রুততা: OCR দ্রুতগতিতে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে, যা ম্যানুয়াল পদ্ধতির চেয়ে অনেক দ্রুত।
- সঠিকতা: উচ্চ গুণমানের ইমেজ হলে সঠিকতা অনেক বেশি।
অসুবিধাসমূহ:
- গুণমানের উপর নির্ভরশীলতা: ইমেজের গুণমান খারাপ হলে সঠিকতা কমে যেতে পারে।
- ভাষার সীমাবদ্ধতা: কিছু OCR সফটওয়্যার শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ভাষার জন্য কার্যকর।
ভবিষ্যৎ দিক
ভবিষ্যতে, OCR প্রযুক্তি আরও উন্নত হবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে মিলিত হয়ে আরো সঠিক এবং কার্যকর হবে। এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রের কাজকে সহজ করে তুলবে এবং ডেটা প্রসেসিংয়ের একটি অপরিহার্য অংশে পরিণত হবে।