Pleural effusion কি ?

প্লিউরাল এফিউশন হলো এক ধরনের শারীরিক অবস্থা যেখানে ফুসফুসের চারপাশে (প্লিউরা) অতিরিক্ত তরল জমা হয়। এটি সাধারণত শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ অনুভব, এবং শ্বাস নিতে অসুবিধার কারণ হতে পারে। এই অবস্থাটি বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে, যেমন সংক্রমণ, ক্যান্সার, হৃদরোগ, বা পেটের রোগ।

প্লিউরাল এফিউশনের কারণসমূহ

প্লিউরাল এফিউশনের কারণগুলি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  1. সংক্রমণ: নিউমোনিয়া বা টিউবারকুলোসিসের মতো ফুসফুসের সংক্রমণ।
  2. ক্যান্সার: ফুসফুসের ক্যান্সার বা অন্যান্য অঙ্গের ক্যান্সার যা ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ে।
  3. হৃদরোগ: হৃদযন্ত্রের অসুখ, যা রক্তের চাপ বৃদ্ধির মাধ্যমে তরল জমা করতে পারে।
  4. পেটের রোগ: লিভারের সমস্যা বা কিডনির অসুবিধা।

প্লিউরাল এফিউশনের লক্ষণসমূহ

প্লিউরাল এফিউশনের লক্ষণগুলি সাধারণত নিম্নলিখিত হতে পারে:

  • শ্বাসকষ্ট: হাঁটাহাঁটির সময় বা বিশ্রামের সময় শ্বাস নিতে অসুবিধা।
  • বুকে চাপ অনুভব: কিছু সময়ে বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব হতে পারে।
  • কাশি: শুকনো কাশি বা প্রবল কাশি হতে পারে।

নিদান এবং চিকিৎসা পদ্ধতি

প্লিউরাল এফিউশন নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকেরা বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে কাজ করেন। সাধারণত, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, অথবা থোরাসেন্টেসিস (প্লিউরাল ক্যাভিটি থেকে তরল বের করার পদ্ধতি) করা হয়।

চিকিৎসার পদ্ধতি:

  • ড্রেনেজ: অতিরিক্ত তরল অপসারণের জন্য।
  • ঔষধ: সংক্রমণ বা প্রদাহ কমানোর জন্য।
  • সার্জারি: যদি প্লিউরাল এফিউশন গুরুতর হয়।

সচেতনতা ও প্রতিরোধ

প্লিউরাল এফিউশন প্রতিরোধের জন্য কিছু সচেতনতা নেওয়া উচিত। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, যেমন স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম, হৃদরোগ এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেওয়া এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা এই অবস্থার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

Leave a Comment