পনিউমোনিয়া হল এক ধরনের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ যা ফুসফুসে ঘটে। সাধারণত এটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অথবা ফাঙ্গাসের কারণে হয় এবং এটি ফুসফুসের ছোট ছোট স্ফুট (আলভিওলি) কে প্রভাবিত করে, যেখানে অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নিষ্কাশন হয়। পনিউমোনিয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং বুকের ব্যথা অন্তর্ভুক্ত।
পনিউমোনিয়ার প্রকারভেদ
পনিউমোনিয়া বিভিন্ন প্রকারে বিভক্ত করা যায়।
১. সম্প্রদায়-অধিকৃত পনিউমোনিয়া (CAP)
এটি সাধারণত বাইরে থেকে সংক্রামিত হয়, যেমন স্কুল, অফিস বা জনসমাগমের স্থানে।
২. হাসপাতাল-অধিকৃত পনিউমোনিয়া (HAP)
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর যদি কোন সংক্রমণ হয়, তাহলে এটি হাসপাতাল-অধিকৃত পনিউমোনিয়া বলে পরিচিত।
৩. স্বাস্থ্যসেবা-অধিকৃত পনিউমোনিয়া (HCAP)
এটি সেই রোগীদের মধ্যে হয় যারা দীর্ঘ সময় ধরে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন।
পনিউমোনিয়ার লক্ষণ
পনিউমোনিয়ার কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:
- কাশি: শুকনো অথবা সর্দি-জ্বরযুক্ত কাশি।
- জ্বর: হালকা থেকে গুরুতর জ্বর।
- শ্বাসকষ্ট: শ্বাস নিতে সমস্যা।
- বুকের ব্যথা: বিশেষ করে শ্বাস নেওয়ার সময়।
পনিউমোনিয়ার কারণ
এই রোগের প্রধান কারণগুলো হল:
- ব্যাকটেরিয়া: স্ট্রেপ্টোকোক্কাস নিউমোনিয়া সবচেয়ে সাধারণ।
- ভাইরাস: ইনফ্লুয়েঞ্জা, করোনাভাইরাস।
- ফাঙ্গাস: কিছু ক্ষেত্রে ফাঙ্গাল সংক্রমণও হতে পারে।
চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ
পনিউমোনিয়ার চিকিৎসায় রোগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ এবং প্রয়োজন হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়:
- টিকা গ্রহণ: পনিউমোনিয়া এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নেওয়া।
- সঠিক হাত ধোয়া: রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: পুষ্টির দিকে খেয়াল রাখা।
উপসংহার: পনিউমোনিয়া একটি গুরুতর রোগ, কিন্তু সঠিক চিকিৎসা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আপনার যদি পনিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।