স্ক্যাবিস একটি সংক্রামক ত্বকের রোগ, যা সাধারণত সারকোপটেস স্ক্যাবিই (Sarcoptes scabiei) নামে পরিচিত একটি ক্ষুদ্র পরজীবী মাইটের কারণে হয়। এই মাইটগুলি ত্বকের উপরের স্তরে প্রবেশ করে এবং সেখানে ডিম পাড়ে, যার ফলে ত্বকে চুলকানি, লালচে দাগ এবং অন্যান্য অস্বস্তির সৃষ্টি হয়। স্ক্যাবিস সাধারণত সরাসরি শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়, তবে এটি একাধিক মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে সহজেই ছড়াতে পারে।
স্ক্যাবিসের লক্ষণ
স্ক্যাবিসের কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে, যা রোগ নির্ণয়ে সহায়ক:
- চুলকানি: বিশেষ করে রাতে চুলকানির অনুভূতি বাড়ে।
- লালচে দাগ: ত্বকে লাল রঙের দাগ দেখা যায়, যা সাধারণত ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতো হয়।
- স্ক্যাবিসের সুরক্ষা: ত্বকের মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষত দেখা দিতে পারে, যা মাইটের উপস্থিতির কারণে হয়।
স্ক্যাবিসের কারণসমূহ
স্ক্যাবিসের প্রধান কারণ হল:
- প্রতিবন্ধকতা: যারা ঘনিষ্ঠভাবে একসাথে বসবাস করে, যেমন পরিবার বা সঙ্গী।
- স্বাস্থ্যসেবা পরিসেবা: হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে যারা একত্রে থাকেন, তাদের মধ্যে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি।
- যৌন সম্পর্ক: যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে স্ক্যাবিসের সংক্রমণ ঘটে।
স্ক্যাবিসের চিকিৎসা
স্ক্যাবিসের চিকিৎসা সাধারণত নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে করা হয়:
- ক্রিম ও লোশন: চিকিৎসকরা সাধারণত মাইট নির্মূল করতে বিশেষ ধরনের ক্রিম বা লোশন prescrive করেন।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড় ও বিছানা পরিষ্কার করা উচিত, যাতে পুনরায় সংক্রমণ না হয়।
প্রতিরোধ
স্ক্যাবিসের থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:
- ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি: নিয়মিত হাত ধোয়া এবং ব্যক্তিগত জিনিসপত্র শেয়ার না করা।
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: সুস্থ জীবনধারার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
স্ক্যাবিস একটি চিকিৎসাযোগ্য রোগ, তবে এটি দ্রুত শনাক্ত ও চিকিত্সা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি স্ক্যাবিসের লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।