Smog একটি বায়ু দূষণের রূপ, যা মূলত ধোঁয়া এবং কুয়াশার সংমিশ্রণ থেকে তৈরি হয়। এটি সাধারণত শিল্পায়িত শহরগুলিতে দেখা যায়, যেখানে যানবাহন এবং শিল্পের কারণে বায়ুতে দূষক পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। Smog মানুষের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং এটি বায়ুমণ্ডলে ভিজ্যুয়াল দূষণ সৃষ্টি করে।
Smog এর প্রকারভেদ
Smog সাধারণত দুটি প্রধান প্রকারে বিভক্ত করা যায়:
প্রচলিত Smog: এটি সাধারণত ঠান্ডা আবহাওয়ার সময় ঘটে এবং কুয়াশার সাথে ধোঁয়ার মিশ্রণে গঠিত হয়। শহরের এলাকায় এটি একটি সাধারণ সমস্যা।
ফটো-কেমিক্যাল Smog: এটি গ্রীষ্মকালে ঘটে, যখন সূর্যের রশ্মি দূষক পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে এবং অক্সিডেন্ট তৈরি করে। এটি সাধারণত যানবাহন এবং শিল্প থেকে নির্গত গ্যাসের কারণে ঘটে।
Smog এর স্বাস্থ্য প্রভাব
Smog মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন:
- শ্বাসকষ্ট: Smog এর কারণে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা বৃদ্ধি পায়, যা হাঁপানি এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
- চর্মরোগ: Smog এর মধ্যে থাকা রাসায়নিক পদার্থ ত্বকে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- চোখের সমস্যা: Smog চোখের জ্বালাপোড়া এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
Smog প্রতিরোধের উপায়
Smog প্রতিরোধ করতে কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে:
- যানবাহন কমানো: পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা এবং ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমানো।
- সবুজ এলাকা বৃদ্ধি: শহরে গাছপালা এবং উদ্যানের সংখ্যা বাড়ানো।
- শিল্প নিয়ন্ত্রণ: শিল্পগুলিকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা।
Smog একটি গুরুতর সমস্যা, যা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই এর প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।