স্প্যাম শব্দটি সাধারণত অনাকাঙ্ক্ষিত বা অবাঞ্ছিত বার্তা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষত ইন্টারনেট এবং ইমেইল যোগাযোগের ক্ষেত্রে। এটি এমন বার্তা যা সাধারণত বিপণন, প্রচার বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে প্রচুর পরিমাণে পাঠানো হয় এবং যেগুলি গ্রাহকদের জন্য অপ্রয়োজনীয় ও বিরক্তিকর হতে পারে।
স্প্যামের প্রকারভেদ
স্প্যাম মূলত তিনটি প্রধান বিভাগে বিভক্ত করা যায়:
ইমেইল স্প্যাম: এটি সবচেয়ে পরিচিত ধরনের স্প্যাম। ইমেইল স্প্যাম সাধারণত বিপণন বা ফিশিং স্ক্যাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভনমূলক বার্তা অন্তর্ভুক্ত করে।
কমেন্ট স্প্যাম: এটি সাধারণত ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটে, যেখানে ব্যবহারকারীরা প্রচুর পরিমাণে অপ্রাসঙ্গিক বা বিরক্তিকর মন্তব্য পোস্ট করে।
এসএমএস স্প্যাম: মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠানো অবাঞ্ছিত বার্তা, যা সাধারণত বিপণনমূলক বা স্ক্যাম সম্পর্কিত।
স্প্যামের প্রভাব
স্প্যাম শুধুমাত্র বিরক্তিকর নয়, বরং এটি নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণও হতে পারে। অনেক সময় স্প্যাম বার্তাগুলির মধ্যে ক্ষতিকর লিঙ্ক থাকতে পারে যা ব্যবহারকারীর ডেটা চুরি করতে পারে।
স্প্যাম থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়
স্প্যাম থেকে রক্ষা পেতে কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:
স্প্যাম ফিল্টার ব্যবহার করুন: অধিকাংশ ইমেইল সার্ভিসে স্প্যাম ফিল্টার থাকে, যা অপ্রয়োজনীয় বার্তাগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফিল্টার করে।
অজানা পাঠককে এড়িয়ে চলুন: অজানা বা সন্দেহজনক উৎস থেকে আসা বার্তা খোলার আগে সতর্ক থাকুন।
প্রাইভেসি সেটিংস পরিবর্তন করুন: আপনার সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য অ্যাকাউন্টের প্রাইভেসি সেটিংস পরিবর্তন করে অপ্রয়োজনীয় যোগাযোগ কমাতে পারেন।
স্প্যাম একটি গুরুতর সমস্যা, তবে সচেতনতা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এটি থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।