বাতাস বা “wind” শব্দটি মূলত বাতাসের গতিবিধি বা প্রবাহকে বোঝায়। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হয়, যেমন তাপমাত্রার পার্থক্য, চাপের পরিবর্তন এবং ভূ-মণ্ডলের বৈশিষ্ট্য। বাতাস সাধারণত দুটি প্রধান কারণে সৃষ্টি হয়:
- বায়ুমণ্ডলের চাপের পার্থক্য: যখন একটি স্থানে উচ্চ চাপ এবং অন্য স্থানে নিম্ন চাপ থাকে, তখন বাতাস উচ্চ চাপের এলাকা থেকে নিম্ন চাপের দিকে প্রবাহিত হয়।
- তাপমাত্রার পরিবর্তন: সূর্যের উত্তাপ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে বিতরণ হয়, যার ফলে তাপমাত্রার পার্থক্য এবং সেই অনুযায়ী বাতাসের গতি সৃষ্টি হয়।
বাতাসের প্রকারভেদ
১. স্থায়ী বাতাস:
এগুলো হলো সারা বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রবাহিত হয়। যেমন: ট্রপিক্যাল বায়ু, পোলার বায়ু।
২. অস্থায়ী বাতাস:
এগুলো হলো মাঝে মাঝে সৃষ্টি হয় এবং দ্রুত পরিবর্তিত হয়। যেমন: ঝড়, টাইফুন।
বাতাসের গুরুত্ব
বাতাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, যেমন:
- জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ: বাতাস পৃথিবীর জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিভিন্ন অঞ্চলের আবহাওয়া পরিবর্তন করে।
- শক্তির উৎস: বাতাস পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেমন বায়ু টারবাইন।
- পরিবহন: অনেক প্রাণী এবং পাখি বাতাসের সাহায্যে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে।
বাতাসের প্রভাব
বাতাসের বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে, যেমন:
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ: ঝড়, বর্শা এবং টাইফুনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাতাসের ভূমিকা থাকে।
- পরিবেশগত সমস্যা: বাতাসের মাধ্যমে দূষণ ছড়াতে পারে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
বাতাস আমাদের চারপাশের পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি আমাদের জীবনে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে।