কিছু নামের নামকরণ বিষয়ে সরাসরি নিষেধের কথা এসেছে। আমরা ওসব নাম রাখবো না। যথাসম্ভব ইসলামি নাম গুরুত্ব দিয়ে রাখবো। নিচের উল্লেখিত বিষয়গুলো আমরা অবশ্যই খেয়াল রাখবো—
• যেসব নাম আল্লাহর জন্য খাস, ওসব নামে ব্যক্তির নামকরণ নিষিদ্ধ। যেমন, আল্লাহ, রহমান, খালিক, কুদ্দুস। অবশ্য এগুলোর শুরুতে ‘আবদ’ শব্দ যোগ করে নিলে অসুবিধা নেই। পৃথক করে শুধু ওই শব্দে ডাকা নিষেধ। তাই আবদুর রহমানকে শুধু রহমান, আবদুল কুদ্দুসকে শুধু কুদ্দুস বলে ডাকবো না।
• আল্লাহর গুণবাচক নাম এগুলো, তবে কুরআন ও হাদিসে আল্লাহ এবং মাখলুক উভয়ের নাম হিসাবেও বর্ণিত আছে, ওগুলোর মাধ্যমে পৃথকভাবে ব্যক্তির নাম রাখাতে অসুবিধা নেই। যেমন, আজিজ শব্দ। এটা আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। আবার কুরআনে বলা হয়েছে, قَالَتِ امۡرَاَتُ الۡعَزِیۡزِ আল-আজিজের স্ত্রী বলেছেন।[১]
• আসমাউল হুসনা তথা আল্লাহর নাম নয়, এমন কোনো নামের সাথে আবদ অর্থাৎ গোলাম বা বান্দার অর্থ বুঝায়, এরকম করে নাম রাখা হারাম। এতে আল্লাহর একত্ববাদের সাথে শরিক করা হয়। যেমন, আবদুল ওজ্জা (ওজ্জার বান্দা বা উপাসক), আবদুশ শামস (সূর্যের বান্দা বা উপাসক), আবদে কাবা (কাবাগৃহের দাস), আবদুন নবি (নবীর গোলাম), আবদুল হুসাইন (হুসাইনের বান্দা) ইত্যাদি নাম রাখা নিষিদ্ধ।
• রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য খাস, অন্য কারো সাথে যায় না যা, এমন নামে নামকরণ নিষেধ। সুতরাং সাইয়েদুন নাস, সাইয়েদু ওয়াদি আদম ইত্যাদি নাম রাখা হারাম।
• মূর্তি বা বিধর্মী উপাসকের নামে নাম রাখা হারাম। যেমন, দূর্গা, কালি, লাত, মেরি ইত্যাদি ইত্যাদি।
• নাম বিকৃতি করাও নিষিদ্ধ ও গর্হিত পর্যায়ের কাজ। এই জন্য এর থেকেও বেঁচে থাকবো।
…………………………………..
[১] সূরা ইউসূফ, আয়াত: ৫১
শিশুদের ইসলামিক নাম—পর্ব: ২
(চলবে ইনশাআল্লাহ)