6s কি ?

6S এর অর্থ এবং গুরুত্ব

আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পদ্ধতি এবং কৌশলগুলোর মধ্যে 6S একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এটি মূলত একটি সংগঠন এবং পরিচালনার পদ্ধতি, যা কার্যকারিতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়। 6S শব্দটি ‘সিক্স সিগমা’ থেকে এসেছে, কিন্তু এটি মূলত একটি পৃথক ধারণা।

6S এর উপাদানগুলো

  1. সারো (Sort): অপ্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আলাদা করা। এর মাধ্যমে কাজের স্থান পরিষ্কার হয় এবং প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সহজে পাওয়া যায়।

  2. সেট ইন অর্ডার (Set in order): প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সঠিক স্থানে রাখা। এটি কাজের প্রক্রিয়া সহজ করে এবং সময় সাশ্রয় করে।

  3. শাইন (Shine): কাজের স্থান পরিষ্কার রাখা। এটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে এবং কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ায়।

  4. স্ট্যান্ডার্ডাইজ (Standardize): কাজের পদ্ধতিগুলোর জন্য একটি মান প্রতিষ্ঠা করা। এটি কার্যকারিতা বাড়ায় এবং ভুলের সম্ভাবনা কমায়।

  5. সাসটেইন (Sustain): ৬S পদ্ধতিগুলো নিয়মিতভাবে পালন করা। এটি দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল নিশ্চিত করে।

  6. সেফটি (Safety): কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এটি কর্মীদের সুস্থতা এবং সুরক্ষা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

6S এর উপকারিতা

  • কার্যকারিতা বাড়ায়: কাজের প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং সময়ের অপচয় কম হয়।
  • নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে: কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত হয়, যা কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
  • উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে: প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সহজে পাওয়া যায়, যা উৎপাদনশীলতা বাড়ায়।

নিষ্কর্ষ

৬S একটি কার্যকর পদ্ধতি, যা যে কোনো প্রতিষ্ঠানে কার্যকারিতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। এটি একটি সংস্কৃতি তৈরি করে, যা কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি করে। যদি আপনার প্রতিষ্ঠান ৬S পদ্ধতি গ্রহণ করে, তবে আপনি দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যাবেন।

Leave a Comment