Amenorrhea অর্থ কি ?

Amenorrhea হলো একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে মহিলাদের মাসিক চক্র সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এটি সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে: প্রাথমিক এবং সেকেন্ডারি।

প্রাথমিক আমেনোরিয়া তখন ঘটে যখন একজন মহিলা ১৬ বছর বয়সে এখনও মাসিক না পায়। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন হরমোনাল সমস্যা, জন্মগত ত্রুটি, অথবা শারীরিকভাবে অক্ষমতা।

সেকেন্ডারি আমেনোরিয়া তখন ঘটে যখন একজন মহিলা যিনি নিয়মিত মাসিক পায়, হঠাৎ করে তিন মাস বা তার বেশি সময় ধরে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন:

  • স্ট্রেস: মানসিক চাপ শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত করতে পারে।
  • ওজন পরিবর্তন: অতিরিক্ত ওজন বা ওজন কমানো উভয়ই মাসিক চক্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
  • অভ্যাসগত পরিবর্তন: কঠোর ব্যায়াম করা বা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও মাসিক বন্ধ করে দিতে পারে।

আমেনোরিয়ার লক্ষণ ও কারণ

আমেনোরিয়ার প্রধান লক্ষণ হলো মাসিকের অনুপস্থিতি। অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:

  • হরমোনের পরিবর্তন
  • পেটে ব্যথা
  • মাথাব্যথা
  • মুড পরিবর্তন

কারণ হিসেবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উল্লেখযোগ্য:

  • হরমোনাল অসামঞ্জস্যতা
  • গর্ভাবস্থা
  • প্রজনন অঙ্গের রোগ
  • খাবারের অভাব বা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

চিকিৎসা ও প্রতিকার

আমেনোরিয়ার চিকিৎসা রোগের কারণ অনুসারে পরিবর্তিত হয়। কিছু সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি হলো:

  • হরমোন থেরাপি: হরমোনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্য এই থেরাপি প্রয়োগ করা হতে পারে।
  • লাইফস্টাইল পরিবর্তন: খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম নিয়ন্ত্রণ করা।
  • মনোবিদ্যা: মানসিক চাপের কারণে আমেনোরিয়া হলে কাউন্সেলিং বা থেরাপি করা হতে পারে।

আমেনোরিয়া একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে এবং এটি স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, যদি কোনো মহিলা মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যায় পড়েন, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Leave a Comment