ARP, বা Address Resolution Protocol, একটি নেটওয়ার্ক প্রোটোকল যা ইথারনেট বা অন্য কোনও স্থানীয় নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ডেটা লিঙ্ক লেয়ার প্রোটোকল যা একটি আইপি ঠিকানা থেকে সংশ্লিষ্ট MAC (Media Access Control) ঠিকানা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যখন একটি ডিভাইস একটি নির্দিষ্ট আইপি ঠিকানায় ডেটা পাঠাতে চায়, তখন এটি প্রথমে ARP ব্যবহার করে সেই আইপি ঠিকানার জন্য MAC ঠিকানা খুঁজে বের করে।
ARP এর কার্যপ্রণালী
ARP কাজ করে নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে:
ARP রিকোয়েস্ট: যখন একটি ডিভাইস (যেমন একটি কম্পিউটার) একটি নির্দিষ্ট আইপি ঠিকানায় ডেটা পাঠাতে চায় কিন্তু MAC ঠিকানা জানে না, তখন এটি নেটওয়ার্কে একটি ARP রিকোয়েস্ট পাঠায়। এই রিকোয়েস্টটি সমস্ত ডিভাইসে পাঠানো হয়, যাতে সংশ্লিষ্ট আইপি ঠিকানার মালিক ডিভাইসটি তার MAC ঠিকানা জানাতে পারে।
ARP রিপ্লাই: যেই ডিভাইসটি নির্দিষ্ট আইপি ঠিকানার মালিক, সে ARP রিকোয়েস্টের প্রতি একটি ARP রিপ্লাই পাঠায়, যাতে তার MAC ঠিকানা উল্লেখ করা থাকে।
MAC ঠিকানা সংরক্ষণ: প্রেরক ডিভাইসটি গ্রহণ করা MAC ঠিকানাটি তার ARP ক্যাশে (ARP Cache) সংরক্ষণ করে, যাতে ভবিষ্যতে পুনরায় সেই আইপি ঠিকানায় ডেটা পাঠানোর সময় ARP রিকোয়েস্ট পাঠাতে না হয়।
ARP এর সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা:
– ARP স্থানীয় নেটওয়ার্কের মধ্যে কার্যকরী যোগাযোগ নিশ্চিত করে।
– এটি একটি সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতি, যা নেটওয়ার্কে তথ্য প্রেরণের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
অসুবিধা:
– ARP স্পুফিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে, যেখানে একজন আক্রমণকারী মিথ্যা ARP রিপ্লাই পাঠিয়ে নেটওয়ার্কের ট্রাফিক দখল করতে পারে।
– এটি স্থানীয় নেটওয়ার্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ, এবং ইন্টারনেটের মধ্যে ব্যবহৃত হয় না।
ARP এর প্রকারভেদ
ARP এর বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে, যেমন:
- Gratuitous ARP: এটি একটি ARP রিকোয়েস্ট যা ডিভাইস তার MAC ঠিকানা অন্যদের জানাতে পাঠায়। এটি সাধারণত নেটওয়ার্কে নতুন ডিভাইস যুক্ত হলে ব্যবহৃত হয়।
- Inverse ARP: এটি একটি প্রোটোকল যা ডিভাইসের MAC ঠিকানা থেকে আইপি ঠিকানা নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়, সাধারণত পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট লিঙ্কে।
ARP প্রযুক্তির গুরুত্ব এবং কার্যকারিতা নেটওয়ার্কিংয়ের জগতে অপরিসীম। এটি নেটওয়ার্কের যোগাযোগের একটি মৌলিক উপাদান, যা তথ্য প্রেরণের প্রক্রিয়াকে সহজতর করে।