অর্থনীতিতে এবং ব্যবসায়িক পরিভাষায় “অ্যাসেট” (Asset) শব্দটির অর্থ হলো এমন কোনো সম্পদ যা একটি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারের মালিকানায় রয়েছে এবং যা তাদের অর্থনৈতিক মূল্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। অ্যাসেট বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, যেমন নগদ অর্থ, সম্পত্তি, যন্ত্রপাতি, স্টক, বন্ড, এবং অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ।
অ্যাসেটের প্রকারভেদ
অ্যাসেট সাধারণত দুই প্রকারে ভাগ করা হয়:
- বৈশিষ্ট্যগত অ্যাসেট (Tangible Assets): এগুলি পদার্থিক এবং দৃশ্যমান হয়ে থাকে, যেমন:
- সম্পত্তি (Land and Buildings)
- যন্ত্রপাতি (Machinery)
যানবাহন (Vehicles)
অবৈশিষ্ট্যগত অ্যাসেট (Intangible Assets): এগুলি পদার্থহীন এবং সাধারণত একটি কোম্পানির মূল্যবান বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচিত হয়, যেমন:
- পেটেন্ট (Patents)
- ট্রেডমার্ক (Trademarks)
- কপিরাইট (Copyrights)
অ্যাসেটের গুরুত্ব
অ্যাসেটের গুরুত্ব অনেক। এটি একটি কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ করে এবং এর ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়াও, অ্যাসেটের মাধ্যমে কোম্পানি ঋণ নিতে পারে এবং এর মাধ্যমে তারা তাদের ব্যবসা বাড়াতে পারে।
অ্যাসেট ব্যবস্থাপনা
একটি সফল ব্যবসার জন্য অ্যাসেটের সঠিক ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অন্তর্ভুক্ত করে:
– অ্যাসেটের মূল্যায়ন
– রক্ষণাবেক্ষণ
– বিক্রয় বা স্থানান্তরের পরিকল্পনা
উপসংহার
অ্যাসেট হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উপাদান যা ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্থিতিশীলতা নির্ধারণ করে। সঠিকভাবে অ্যাসেট পরিচালনা করা একটি ব্যবসার দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।