বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বাংলাদেশের প্রথম জিওস্টেশনারি যোগাযোগ স্যাটেলাইট। এটি বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার ক্ষেত্রে এক নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে। স্যাটেলাইটটি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করছে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)।
প্রধান তথ্য:
- লঞ্চ তারিখ: ১১ মে, ২০১৮ (বাংলাদেশ সময়)
- প্রতিষ্ঠান: স্যাটেলাইটটি নির্মাণ করেছে থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস, একটি ফরাসি সংস্থা।
- লঞ্চ ভেহিকল: স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
- অরবিটাল পজিশন: ১১৯.১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
সুবিধাসমূহ:
- টেলিযোগাযোগ: দেশে এবং বিদেশে টেলিকমিউনিকেশন ও ব্যান্ডউইথ সেবা প্রদান।
- টেলিভিশন ব্রডকাস্টিং: জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার।
- ইন্টারনেট সার্ভিস: উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান।
- ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- মেরিটাইম সার্ভিস: সমুদ্র পরিবহনে যোগাযোগ সুবিধা।
প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য:
- ওজন: ৩,৫০০ কিলোগ্রাম।
- লাইফ টাইম: ১৫ বছর।
- ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড: কু-ব্যান্ড ও সি-ব্যান্ড।
অর্থনৈতিক প্রভাব:
- দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয়।
- বিদেশি স্যাটেলাইট নির্ভরতা অনেকাংশে কমানো।
- নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফলতার প্রেক্ষিতে সরকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা দেশের যোগাযোগ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে আরো উন্নতি আনবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রার একটি প্রতীক, যা বাংলাদেশের জনগণের জন্য গর্বের বিষয়।