ব্রাডিকার্ডিয়া: একটি পরিচিতি
ব্রাডিকার্ডিয়া হল একটি শারীরবৃত্তীয় অবস্থা যেখানে হৃদয়ের স্পন্দনের হার স্বাভাবিকের তুলনায় কম হয়। সাধারণত, একজন প্রাপ্তবয়স্কের হৃদস্পন্দন প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বারের মধ্যে হয়ে থাকে। যদি হৃদস্পন্দন এর হার ৬০ এর নিচে চলে যায়, তাহলে সেটিকে ব্রাডিকার্ডিয়া বলা হয়।
ব্রাডিকার্ডিয়ার কারণসমূহ
ব্রাডিকার্ডিয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে, যেমন:
হৃদযন্ত্রের সমস্যা: হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটলে ব্রাডিকার্ডিয়া দেখা দিতে পারে।
যৌবনজনিত পরিবর্তন: কিছু মানুষ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে ব্রাডিকার্ডিয়া অনুভব করতে পারেন।
মাদকদ্রব্যের প্রভাব: কিছু ওষুধ যেমন বিটা-ব্লকারস এবং অন্যান্য হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধগুলি হৃদস্পন্দন কমিয়ে দিতে পারে।
হরমোনাল সমস্যা: থাইরয়েড হরমোনের অভাবও ব্রাডিকার্ডিয়ার কারণ হতে পারে।
ব্রাডিকার্ডিয়ার লক্ষণসমূহ
ব্রাডিকার্ডিয়া প্রায়শই কোনো লক্ষণ ছাড়াই ঘটে, তবে কিছু ক্ষেত্রে নিচে উল্লেখিত লক্ষণ দেখা দিতে পারে:
- ক্লান্তি বা দুর্বলতা
- মাথা ঘোরা
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
- শ্বাসকষ্ট
ব্রাডিকার্ডিয়া নির্ণয় এবং চিকিৎসা
ব্রাডিকার্ডিয়া নির্ণয়ের জন্য ডাক্তার সাধারণত একটি ইসিজি (ECG) করে থাকেন। যদি এটি একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে রোগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন উপায় গ্রহণ করা হতে পারে, যেমন:
ঔষধ পরিবর্তন: যদি কোনো নির্দিষ্ট ওষুধের প্রভাবে ব্রাডিকার্ডিয়া হয়ে থাকে, তাহলে ডাক্তার সেটি পরিবর্তন করার পরামর্শ দিতে পারেন।
পেসমেকার: যদি হৃদস্পন্দন খুবই কম হয় এবং তা জীবনকে বিপন্ন করে, তাহলে পেসমেকার স্থাপন করা হতে পারে।
সারসংক্ষেপ
ব্রাডিকার্ডিয়া একটি গুরুতর অবস্থা হতে পারে, তবে এটি প্রায়শই নিরীহও হতে পারে। যদি আপনি হৃদস্পন্দন বা এর সাথে সম্পর্কিত কোনো সমস্যা অনুভব করেন, তাহলে দ্রুত ডাক্তারকে দেখানো উচিত। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং নিয়মিত চিকিৎসা অনুসরণ করলে ব্রাডিকার্ডিয়া মোকাবেলা করা সম্ভব।