CGPA এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে "Cumulative Grade Point Average"। বাংলায় এর অর্থ হলো "সমষ্টিগত গ্রেড পয়েন্ট গড়"। এটি সাধারণত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের শিক্ষালাভের ক্ষেত্রে কার্যকরী একটি মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
CGPA এর বিস্তারিত:
গ্রেড পয়েন্ট: শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত মান এবং গ্রেড পয়েন্টের ভিত্তিতে দেওয়া হয়। সাধারণত ৪.০০ অথবা ১০.০০ পয়েন্ট সিস্টেমে এই গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়।
সমষ্টিগত: এটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্ববর্তী সব সেমিস্টার/বর্ষের গ্রেড পয়েন্ট গড়ে নিয়ে গঠিত হয়। অর্থাৎ, যখন আপনি একাধিক সেমিস্টার পার করেন, তখন প্রতিটি সেমিস্টারের গ্রেড পয়েন্ট যোগ করে মোট সেমিস্টারের সংখ্যা দ্বারা ভাগ করে CGPA হিসাব করা হয়।
- গুরুত্ব: CGPA বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের একাডেমিক পারফরম্যান্স পরিমাপ করার একটি উপায়। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, চাকুরির আবেদন, এবং স্কলারশিপের জন্য মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয়।
CGPA কিভাবে গণনা করা হয়:
CGPA গণনার জন্য নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়:
- প্রতিটি কোর্সের জন্য প্রাপ্ত গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ করতে হবে।
- প্রত্যেক কোর্সের জন্য ক্রেডিট সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে।
- গ্রেড পয়েন্ট এবং ক্রেডিট সংখ্যা গুণ করে যোগ করতে হবে।
- মোট গ্রেড পয়েন্টকে মোট ক্রেডিট দ্বারা ভাগ করা হবে।
উদাহরণ:
ধরি, একজন শিক্ষার্থী ৩টি কোর্সে A, B, C গ্রেড পেয়েছে, যেখানে প্রতিটি কোর্সের ক্রেডিট যথাক্রমে ৩, ৩, এবং ২।
- A = ৪ (প্রাপক গ্রেড পয়েন্ট)
- B = ৩
- C = ২
অতএব,
- মোট গ্রেড পয়েন্ট = (৪ ৩) + (৩ ৩) + (২ * ২) = ১২ + ৯ + ৪ = ২৫
- মোট ক্রেডিট = ৩ + ৩ + ২ = ৮
এখন, CGPA হবে ২৫ / ৮ = ৩.১২
এইভাবে CGPA হিসাব করা হয়। আশা করি এই তথ্য আপনার বোঝার জন্য সহায়ক হবে!