ইইজি (EEG) বা elektroencephalography একটি নিউরলজিক্যাল পরীক্ষার পদ্ধতি, যা মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ রেকর্ড করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে মাথায় বিশেষ ইলেকট্রোড লাগানো হয়, যা মস্তিষ্কের তরঙ্গগুলিকে ধরা এবং বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে। ইইজি সাধারণত মস্তিষ্কের রোগ বা অবস্থার সনাক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন:
মৃগী রোগ (Epilepsy)
ইইজি মৃগী রোগের সনাক্তকরণে অত্যন্ত কার্যকর। মৃগী রোগী যখন আক্রমণের সম্মুখীন হয়, তখন ইইজির মাধ্যমে মস্তিষ্কে ঘটে যাওয়া বৈদ্যুতিক পরিবর্তনগুলি দেখা যায়।
ঘুমের ব্যাঘাত (Sleep Disorders)
ঘুমের সময় মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্যও ইইজি ব্যবহৃত হয়। এটি ঘুমের বিভিন্ন স্তরের সনাক্তকরণে সাহায্য করে।
মানসিক রোগ (Mental Disorders)
অনেক মানসিক রোগের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ইইজি এই পরিবর্তনগুলি সনাক্ত করতে সহায়ক।
ইইজি পরীক্ষার পদ্ধতি
ইইজি পরীক্ষা সাধারণত একটি সহজ প্রক্রিয়া। এই পরীক্ষায় রোগীর মাথায় বিভিন্ন স্থানে ইলেকট্রোড স্থাপন করা হয়। ইলেকট্রোডগুলি মাথার ত্বকের সাথে যুক্ত থাকে এবং মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক তরঙ্গগুলিকে রেকর্ড করে।
ইইজির সুবিধা এবং অসুবিধা
সুবিধা:
– অন্যায্য ব্যয়বহুল নয়: ইইজি পরীক্ষা তুলনামূলকভাবে সস্তা।
– ঝুঁকি কম: এটি একটি অযৌক্তিক এবং নিরাপদ পদ্ধতি।
– তাত্ক্ষণিক ফলাফল: পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত পাওয়া যায়।
অসুবিধা:
– সীমাবদ্ধতা: কিছু ক্ষেত্রে ইইজি ফলাফল সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে না।
– বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন: ফলাফল বিশ্লেষণের জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার প্রয়োজন।
ইইজির ব্যবহার কোন ক্ষেত্রে
ইইজি বিভিন্ন ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়, যেমন:
- নিউরোফিজিওলজি: মস্তিষ্কের কার্যকলাপের গভীর অধ্যয়ন।
- ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি: রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা পরিকল্পনার জন্য।
- গবেষণা: নতুন চিকিৎসা বা প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য।
ইইজি একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি যা মস্তিষ্কের কার্যকলাপের গভীর তথ্য প্রদান করে। এটি চিকিৎসা এবং গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।