Eprom কি ?

EPROM, বা Erasable Programmable Read-Only Memory, একটি বিশেষ ধরনের মেমোরি চিপ যা তথ্য সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত একটি ননভলাটাইল মেমোরি, যার মানে হল যে পাওয়ার বন্ধ হয়ে গেলেও এতে সংরক্ষিত তথ্য মুছে যাবে না। EPROM ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসে, যেমন কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসে।

EPROM এর ফিচার এবং উপকারিতা

EPROM এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন:

  1. মেমোরি সঞ্চয়: EPROM তথ্য সংরক্ষণ করতে সক্ষম, যা পাওয়ার বন্ধ হলে ও মুছে যায় না।
  2. পুনরায় প্রোগ্রামযোগ্য: EPROM কে পুনরায় প্রোগ্রাম করা যায়। এটি একটি UV লাইটের সাহায্যে তথ্য মুছে ফেলা হয় এবং নতুন তথ্য লিখতে হয়।
  3. দীর্ঘস্থায়ী: EPROM এর তথ্য দীর্ঘ সময় ধরে সঠিকভাবে সংরক্ষিত থাকে।

EPROM কিভাবে কাজ করে?

EPROM এর ভিতরে সিলিকন চিপে ছোট ছোট ট্রানজিস্টর থাকে। যখন তথ্য লেখা হয়, তখন একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই ট্রানজিস্টর গুলোকে প্রোগ্রাম করা হয়। যখন তথ্য মুছে ফেলতে হয়, তখন UV লাইট ব্যবহার করে ট্রানজিস্টর গুলোর প্রোগ্রামিং মুছে ফেলা হয় এবং নতুন তথ্য লেখা হয়।

ব্যবহার এবং প্রয়োগ

EPROM এর ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ হল:

  • কম্পিউটার BIOS: কম্পিউটারের বেসিক ইনপুট/আউটপুট সিস্টেম (BIOS) সংরক্ষণে EPROM ব্যবহার করা হয়।
  • মাইক্রোকন্ট্রোলার: বিভিন্ন মাইক্রোকন্ট্রোলার এবং এমবেডেড সিস্টেমে তথ্য সংরক্ষণে EPROM ব্যবহৃত হয়।
  • ডিজিটাল ডিভাইস: বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসে যেমন গেম কনসোল, মোবাইল ফোন ইত্যাদিতে EPROM ব্যবহৃত হয়।

শেষ কথা

EPROM প্রযুক্তি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি তথ্য সংরক্ষণ এবং পুনর্লিখন করার সুবিধা প্রদান করে, যা বিভিন্ন প্রযুক্তিগত প্রয়োগে অপরিহার্য। EPROM এর ব্যবহার এবং উন্নতি ভবিষ্যতে আরও নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়ক হবে।

Leave a Comment