ESR বা Erythrocyte Sedimentation Rate হলো একটি রক্ত পরীক্ষার পদ্ধতি যা শরীরের প্রদাহের উপস্থিতি নির্ধারণ করে। এই পরীক্ষায়, রক্তের লাল কণিকার স্থানান্তরিত হওয়ার হার পরিমাপ করা হয়। সাধারণত, যদি শরীরে প্রদাহ হয়, তবে লাল কণিকা দ্রুত নিচের দিকে পড়ে যায়। ESR পরীক্ষাটি বিভিন্ন অসুস্থতার সাথে সম্পর্কিত তথ্য দিতে পারে, যেমন ইনফেকশন, অটোইমিউন ডিজিজ, বা ক্যান্সার।
ESR এর গুরুত্ব
ESR পরীক্ষাটি বিভিন্ন চিকিৎসা পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রদাহের স্তর নির্ধারণ করতে সাহায্য করে এবং চিকিৎসকদের রোগ নির্ণয়ের জন্য একটি নির্দেশক হিসেবে কাজ করে।
ESR পরীক্ষা করার পদ্ধতি
ESR পরীক্ষাটি সাধারণত একটি সহজ প্রক্রিয়া। প্রথমে, একটি রক্তের নমুনা নেওয়া হয় এবং সেক্ষেত্রে কিছু বিশেষ তরল যোগ করা হয়। এরপর, রক্তের লাল কণিকার নিচে পড়ার হার পরিমাপ করা হয়। এই পদ্ধতিটি সাধারণত ১ ঘন্টা সময় নেয়।
ESR এর স্বাভাবিক মান
ESR এর স্বাভাবিক মান ব্যক্তির বয়স ও লিঙ্গের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, পুরুষদের জন্য এটি ০-১৫ মিমি/ঘণ্টা এবং মহিলাদের জন্য ০-২০ মিমি/ঘণ্টা স্বাভাবিক বলে ধরা হয়।
ESR পরীক্ষার ফলাফল
ESR এর ফলাফল যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তবে এর মানে হতে পারে যে শরীরে কিছু ধরনের প্রদাহ বা অসুস্থতা রয়েছে। তবে, এটি নিশ্চিত করার জন্য আরও পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।
উপসংহার
ESR একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার পদ্ধতি, যা প্রদাহের উপস্থিতি নির্ধারণে সাহায্য করে। এটি বিভিন্ন রোগের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে এবং চিকিৎসকদের রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে। যদি আপনি ESR পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করছেন, তবে আপনার চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করা উচিত।