এথনিসিটি (Ethnicity) হল একটি সামাজিক পরিচয় যা বিশেষ একটি গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ভাষাগত, এবং ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্যগুলির ভিত্তিতে গঠিত। এটি সাধারণত তাদের সংস্কৃতি, ধর্ম, ভাষা, এবং ঐতিহ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়। এথনিসিটি সাধারণত জাতি বা জাতিগত গোষ্ঠীগুলির মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে এবং মানুষের পরিচয়কে গঠন করে।
এথনিসিটি এবং জাতিগত পরিচয়
এথনিসিটি এবং জাতিগত পরিচয় একে অপরের সাথে সম্পর্কিত হলেও, এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। জাতিগত পরিচয় সাধারণত জৈবিক বা শারীরিক বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে গঠিত, যেমন ত্বকের রঙ, চেহারার গঠন ইত্যাদি। অন্যদিকে, এথনিসিটি সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্ভূত।
এথনিসিটির উপাদান
এথনিসিটির মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যেমন:
- ভাষা: একটি গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে ব্যবহৃত ভাষা তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য: উৎসব, খাদ্য, পোশাক এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড গোষ্ঠীর পরিচয়কে গঠন করে।
- ধর্ম: ধর্মীয় বিশ্বাস এবং প্রথা অনেক সময় এথনিসিটির সাথে জড়িত থাকে।
- ঐতিহাসিক পটভূমি: গোষ্ঠীর ইতিহাস এবং ঐতিহ্যও এথনিসিটির অংশ।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন এথনিক গ্রুপ বিদ্যমান, এবং প্রতিটি গ্রুপের নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এথনিসিটি বিভিন্ন দেশে সামাজিক সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলিতে প্রভাব ফেলে। কিছু দেশে এথনিক কনফ্লিক্ট বা সংঘর্ষও দেখা যায়, যেখানে বিভিন্ন এথনিক গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।
উপসংহার
এথনিসিটি হল একটি জটিল এবং বৈচিত্র্যময় বিষয় যা আমাদের সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি মানুষের পরিচয় এবং সংস্কৃতির একটি মূল ভিত্তি, যা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং সামাজিক সংহতির উপর প্রভাব ফেলে।