ফেরিটিন হল একটি প্রোটিন যা শরীরের ভিতরে আয়রন সংরক্ষণ করে। এটি রক্তের মধ্যে আয়রনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং সঠিক পরিমাণে আয়রন সরবরাহ করতে সাহায্য করে, যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের জন্য অপরিহার্য।
ফেরিটিনের গঠন ও কার্যক্রম
ফেরিটিন একটি গ্লাইকোপ্রোটিন, যা আয়রন আণবিককে সঞ্চিত করে এবং শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী তা মুক্ত করে। এটি সাধারণত লিভার, স্লিপ, এবং মেরুদণ্ডের মজ্জায় পাওয়া যায়। শরীরে ফেরিটিনের স্তর সাধারণত আয়রনের স্তরের সাথে সংযুক্ত থাকে। যদি শরীরে আয়রনের অভাব হয়, তবে ফেরিটিনের স্তর কমে যায়, যা শরীরের আয়রনের অভাবের সংকেত দেয়।
ফেরিটিনের স্তর পরিমাপ
রক্তের পরীক্ষার মাধ্যমে ফেরিটিনের স্তর মাপা হয়। এই পরীক্ষা শরীরে আয়রনের অভাব বা অতিরিক্ততা নির্ধারণে সহায়ক। সাধারণত, স্বাস্থ্যের জন্য ফেরিটিনের স্বাভাবিক স্তর মহিলাদের জন্য ১২-১৫০ ng/mL এবং পুরুষদের জন্য ৩০-৪০০ ng/mL হয়।
ফেরিটিন কম থাকার কারণসমূহ
- আয়রনের অভাব: খাদ্য থেকে পর্যাপ্ত আয়রন না পাওয়া।
- রক্তস্রাব: মাসিক বা অন্যান্য কারণে রক্তপাত হলে।
- অবসন্নতা: শরীরের ক্রমাগত রোগ বা অবসন্নতা।
ফেরিটিন বাড়ানোর উপায়
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: মাংস, ডাল, পালং শাক, এবং বাদাম।
- ভিটামিন সি: ভিটামিন সি যুক্ত খাবার আয়রন শোষণে সাহায্য করে।
- পুষ্টিকর খাদ্য: সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।
ফেরিটিন আমাদের শরীরের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা আমাদের ফেরিটিনের স্তর বজায় রাখতে পারি।