ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিটস (FWB) একটি অতি পরিচিত সম্পর্কের ধরন, যেখানে দুই ব্যক্তি বন্ধুত্বের ভিত্তিতে একত্রিত হন এবং সেইসাথে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলেন, কিন্তু তাদের মধ্যে কোনও ধরনের রোমান্টিক প্রতিশ্রুতি নেই। এই ধরনের সম্পর্ক সাধারণত আরও অস্থায়ী এবং অবাধ হয়।
ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিটস সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য
১. বন্ধুত্বের ভিত্তি:
এই সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো বন্ধুত্ব। উভয় পক্ষেই একে অপরের প্রতি একটি সহানুভূতির অনুভূতি থাকে, কিন্তু রোমান্টিক সম্পর্কের মতো গভীরতা নেই।
২. শারীরিক সম্পর্ক:
ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিটস সম্পর্কের একটি প্রধান আকর্ষণ হলো শারীরিক সম্পর্ক। এটি বন্ধুত্বের মধ্যে একটি অতিরিক্ত উপাদান যোগ করে।
৩. প্রতিশ্রুতির অভাব:
এ ধরনের সম্পর্কের মধ্যে কোনও ধরনের দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি নেই। উভয় পক্ষই জানে যে তারা একে অপরের প্রতি রোমান্টিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়।
৪. যোগাযোগের গুরুত্ব:
এই ধরনের সম্পর্কের সফলতা অনেকাংশে উভয় পক্ষের মধ্যে খোলামেলা যোগাযোগের উপর নির্ভর করে। স্বচ্ছতা এবং সৎ যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিটস সম্পর্কের সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা:
– মনোরঞ্জন: এই ধরনের সম্পর্ক প্রায়শই মজাদার এবং উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে।
– কম চাপ: রোমান্টিক সম্পর্কের চাপ এবং প্রত্যাশা নেই।
– বন্ধুত্বের উন্নতি: বন্ধুত্বের গভীরতা বাড়াতে পারে।
অসুবিধা:
– ভুল বোঝাবুঝি: এক পক্ষের যদি অন্যের প্রতি রোমান্টিক অনুভূতি তৈরি হয়, তবে তা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
– আবেগের জটিলতা: শারীরিক সম্পর্কের ফলে আবেগগত জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
– সামাজিক চাপ: সমাজে এই ধরনের সম্পর্ক নিয়ে কিছু নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে।
সঠিক সময়ে FWB সম্পর্ক স্থাপন করা
১. সম্পর্কের উদ্দেশ্য:
আপনার এবং আপনার সঙ্গীর উদ্দেশ্য স্পষ্ট করুন। নিশ্চিত করুন যে উভয়ের প্রত্যাশা একই।
২. সততা:
আপনার অনুভূতি এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে খোলামেলা থাকুন।
৩. সীমারেখা নির্ধারণ:
শারীরিক সম্পর্কের সীমারেখা এবং বন্ধুত্বের জন্য কিছু নিয়ম নির্ধারণ করুন।
৪. পরিস্থিতির পরিবর্তন:
যদি কোনও পক্ষের অনুভূতি পরিবর্তিত হয়, তবে তা সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করুন।
ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিটস সম্পর্ক অনেকের জন্য উপকারী হতে পারে, তবে এটি সঠিকভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন যাতে কোনও ভুল বোঝাবুঝি বা আবেগগত জটিলতা সৃষ্টি না হয়।