গ্যাট (GATT) বা সাধারণ শুল্ক ও বাণিজ্য চুক্তি হল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা যা ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি মূলত বাণিজ্যিক বাধা কমানোর এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে সহজতর করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল। গ্যাট এর মূল লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ককে সুসংহত করা এবং বাণিজ্যিক নীতিগুলোর স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা।
গ্যাট এর মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ
গ্যাট এর কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য আছে যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
- বাণিজ্যকে মুক্ত করা: গ্যাট বিভিন্ন দেশের মধ্যে শুল্ক এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক বাধা কমানোর চেষ্টা করে।
- অবস্থানগত নীতি: সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবস্থানগত নীতি অনুসরণ করা হয়।
- নিয়ম ও প্রবিধান: এটি সদস্য দেশগুলোর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম এবং প্রবিধান প্রতিষ্ঠা করে।
গ্যাট এর গুরুত্ব
গ্যাট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ কিভাবে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করতে পারে তা নির্দেশিত হয়েছে।
- অর্থনৈতিক উন্নতি: গ্যাট এর ফলে সদস্য দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য সুযোগ পেয়েছে।
- সামাজিক সম্পর্কের উন্নতি: বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত হওয়ার ফলে সামাজিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিষ্কর্ষ
গ্যাট এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পাওয়া যায়। এটি কেবলমাত্র বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটায় না, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্ককেও সুদৃঢ় করে।
গ্যাট এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)
১৯৯৫ সালে গ্যাট এর পরবর্তী পর্যায় হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) প্রতিষ্ঠিত হয়। WTO গ্যাট এর নীতিমালা এবং কাঠামোকে আরও উন্নত করে এবং বিশ্ব বাণিজ্যের গতিশীলতাকে বাড়িয়ে তোলে।
গ্যাট এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য একটি নতুন মাত্রা লাভ করেছে এবং এটি বিশ্বের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।