গ্লুকোমা একটি গুরুতর চোখের সমস্যা যা সাধারণত চোখের চাপ বাড়ানোর কারণে ঘটে। যখন চোখের ভিতরের তরল, যা আউটফ্লো বন্ধ হয়ে যায়, তখন এটি চোখের চাপ বাড়িয়ে তুলে। এই চাপ স্নায়ু ক্ষতি করতে পারে এবং এর ফলে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে পারে। যদি এটি যথাযথভাবে চিকিত্সা না করা হয়, তাহলে গ্লুকোমা অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।
গ্লুকোমার প্রকারভেদ
গ্লুকোমা দুইটি প্রধান প্রকারে বিভক্ত:
প্রাথমিক কোণ-গ্রন্থি গ্লুকোমা: এটি সবচেয়ে সাধারণ প্রকার, যা ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং সাধারণত কোনও লক্ষণ নেই।
সেকেন্ডারি গ্লুকোমা: এটি অন্য কোন চোখের সমস্যা বা রোগের কারণে ঘটে, যেমন চোখে আহত হওয়া, প্রদাহ বা কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
গ্লুকোমার লক্ষণ
গ্লুকোমার প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। তবে, সময়ের সাথে সাথে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে:
- দৃষ্টির ক্ষেত্র সংকুচিত হওয়া
- রাতের দৃষ্টি দুর্বল হওয়া
- চোখের চাপ বা ব্যথা অনুভূত হওয়া
- অন্ধকারে দেখতে সমস্যা
গ্লুকোমার কারণ
গ্লুকোমার সঠিক কারণ এখনও সম্পূর্ণরূপে বোঝা যায়নি, তবে কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে:
- পরিবারে গ্লুকোমার ইতিহাস
- উচ্চ রক্তচাপ
- ডায়াবেটিস
- চোখের আঘাত
গ্লুকোমার চিকিত্সা
গ্লুকোমার চিকিত্সার জন্য সাধারণত কয়েকটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়:
- চোখের ড্রপ: চোখের চাপ কমানোর জন্য নির্দিষ্ট ড্রপ ব্যবহার করা হয়।
- লেজার সার্জারি: কিছু ক্ষেত্রে লেজার ব্যবহার করে তরলের প্রবাহ উন্নত করা হয়।
- সার্জারি: গুরুতর ক্ষেত্রে, সার্জারি করা হতে পারে।
নিষ্কর্ষ
গ্লুকোমা একটি গুরুতর অবস্থায় এবং সময়মতো চিকিত্সা না করলে এটি দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ হতে পারে। নিয়মিত চোখের পরীক্ষা এবং চিকিত্সা গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্লুকোমার লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।