Leverage কি ?

লেভারেজ (Leverage) এমন একটি অর্থনৈতিক ধারণা যা মূলত একটি সম্পদ বা পুঁজির উপর অতিরিক্ত রিটার্ন অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে করা হয়, যেখানে একজন বিনিয়োগকারী তার নিজস্ব পুঁজির পাশাপাশি ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করে।

লেভারেজের প্রকারভেদ

লেভারেজের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে, যেমন:

  1. ফাইন্যান্সিয়াল লেভারেজ: এটি মূলত ঋণ নিয়ে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্জিত অতিরিক্ত রিটার্ন বোঝায়। যেমন, যদি একজন বিনিয়োগকারী $10,000 নিজের টাকা দিয়ে একটি সম্পত্তি কিনে এবং $30,000 ঋণ নেয়, তাহলে তার মোট বিনিয়োগ হবে $40,000।

  2. অপারেশনাল লেভারেজ: এটি ব্যবসায়ের অভ্যন্তরীণ খরচের ওপর নির্ভরশীল। উচ্চ স্থায়ী খরচের কারণে, বিক্রয় বাড়লে লাভের হার অনেক বেশি হতে পারে।

  3. মার্কেট লেভারেজ: এটি বাজারে কিভাবে বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজিকে বৃদ্ধি করতে পারে তা বোঝায়।

লেভারেজ ব্যবহারের সুবিধা এবং ঝুঁকি

লেভারেজ ব্যবহারের কিছু সুবিধা রয়েছে, যেমন:

  • উচ্চ লাভের সম্ভাবনা: লেভারেজ ব্যবহারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের রিটার্ন বাড়াতে পারেন।
  • স্বল্প মূলধন দিয়ে বিনিয়োগ: লেভারেজের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা কম পুঁজিতে বড় বিনিয়োগ করতে পারেন।

তবে, এর পাশাপাশি কিছু ঝুঁকিও রয়েছে:

  • ক্ষতির সম্ভাবনা: যদি বিনিয়োগের মূল্য হ্রাস পায়, তবে লেভারেজের কারণে ক্ষতি বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • ঋণের চাপ: অতিরিক্ত ঋণ নিলে পরবর্তী সময়ে পরিশোধের চাপ বৃদ্ধি পায়।

উপসংহার

লেভারেজ বিনিয়োগের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে, তবে এটি ব্যবহার করার আগে ঝুঁকি এবং সুবিধাগুলি ভালোভাবে বিবেচনা করা উচিত। সঠিকভাবে লেভারেজ ব্যবহারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতে পারে, তবে এটির সাথে যুক্ত ঝুঁকির বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না।

Leave a Comment