NFC বা Near Field Communication হলো একটি যোগাযোগ প্রযুক্তি যা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে তথ্য শর্ট রেঞ্জে আদান-প্রদান করতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত, NFC প্রযুক্তি 4 ইঞ্চির মধ্যে ডিভাইসগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে কাজ করে। এটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, এবং অন্যান্য ডিভাইসের মধ্যে দ্রুত এবং নিরাপদ তথ্য বিনিময় করতে সক্ষম।
NFC এর কাজের পদ্ধতি
NFC প্রযুক্তি মূলত তিনটি প্রধান মোডে কাজ করে:
পিয়ার-টু-পিয়ার মোড: এই মোডে দুটি NFC সক্ষম ডিভাইস একে অপরের সাথে তথ্য বিনিময় করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, দুইটি স্মার্টফোনের মধ্যে ছবি বা ফাইল পাঠানো।
কার্ড এমুলেশন মোড: এই মোডে একটি NFC ডিভাইস একটি ডিজিটাল কার্ড হিসাবে কাজ করে। এটি সাধারণত মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়, যেখানে স্মার্টফোন একটি ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মতো কাজ করে।
রিডার/রাইটার মোড: এই মোডে NFC ডিভাইস একটি NFC ট্যাগ বা স্টিকার পড়তে পারে। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য তথ্য প্রদানের জন্য সহজ এবং সুবিধাজনক।
NFC এর সুবিধা
NFC প্রযুক্তির কিছু প্রধান সুবিধা হলো:
দ্রুত সংযোগ: NFC মাধ্যমে ডিভাইসগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা খুবই সহজ এবং দ্রুত। ব্যবহারকারীকে কেবল দুটি ডিভাইসকে কাছাকাছি আনতে হয়।
নিরাপত্তা: NFC সংযোগগুলি সাধারণত এনক্রিপ্ট করা হয়, যা তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
বহুমুখী ব্যবহার: NFC প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন মোবাইল পেমেন্ট, টিকিটিং, এবং তথ্য শেয়ারিং।
NFC এর ব্যবহার
NFC প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এখানে কিছু জনপ্রিয় ব্যবহারের ক্ষেত্র উল্লেখ করা হলো:
মোবাইল পেমেন্ট: গুগল পে, অ্যাপল পে, এবং অন্যান্য ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম NFC প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
টিকিটিং সিস্টেম: অনেক ট্রেন এবং বাস পরিষেবায় NFC টিকিট ব্যবহৃত হচ্ছে, যেখানে ব্যবহারকারী তাদের স্মার্টফোন স্ক্যান করে টিকিট যাচাই করতে পারে।
ডেটা শেয়ারিং: ছবি, ভিডিও, এবং অন্যান্য ফাইল দ্রুত শেয়ার করার জন্য NFC প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
NFC প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যা তথ্যের আদান-প্রদান এবং পেমেন্ট সিস্টেমকে আরও সহজ এবং নিরাপদ করে তুলছে।