Objective শব্দটির অর্থ হলো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য। এটি একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যকে নির্দেশ করে, যা কোনও কাজ বা কর্মকাণ্ডের ফলস্বরূপ অর্জিত হতে পারে। সাধারণত, এটি একটি পরিকল্পিত কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেখানে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।
Objective এর বিভিন্ন প্রকার
1. ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য:
ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন লক্ষ্য স্থির করেন। যেমন, একটি নতুন স্কিল শেখা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, বা একটি নতুন বই পড়া।
2. পেশাগত উদ্দেশ্য:
কর্মক্ষেত্রে, কর্মীরা তাদের ক্যারিয়ার উন্নতির জন্য বিভিন্ন উদ্দেশ্য স্থির করেন। যেমন, একটি নির্দিষ্ট পদে উন্নীত হওয়া বা নতুন প্রকল্পে নেতৃত্ব দেওয়া।
3. শিক্ষাগত উদ্দেশ্য:
শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাগত জীবনে লক্ষ্য স্থির করে। যেমন, নির্দিষ্ট একটি পরীক্ষায় ভালো ফল করা বা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর গবেষণা করা।
Objective স্থির করার গুরুত্ব
1. মনোযোগ:
একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করলে, আপনি আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে পারেন। এটি আপনাকে আপনার কাজের প্রতি আরও বেশি মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে।
2. প্রেরণা:
একটি লক্ষ্য থাকলে, আপনি সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আরও বেশি প্রেরণা অনুভব করেন। এটি আপনাকে কাজ করতে উৎসাহিত করে।
3. মূল্যায়ন:
লক্ষ্য স্থির করা হলে, আপনি আপনার অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে পারেন। এটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করে যে আপনি সঠিক পথে আছেন কিনা।
Objective স্থির করার কৌশল
1. SMART পদ্ধতি:
SMART মানে হলো Specific, Measurable, Achievable, Relevant, Time-bound। এই পদ্ধতি অনুযায়ী, একটি লক্ষ্য স্থির করতে হবে যা স্পষ্ট, পরিমাপযোগ্য, অর্জনযোগ্য, প্রাসঙ্গিক এবং সময়সীমাবদ্ধ।
2. দৈনন্দিন পরিকল্পনা:
প্রতিদিনের কাজের তালিকা তৈরি করুন এবং আপনার লক্ষ্য অর্জনে সেই অনুযায়ী কাজ করুন। এটি আপনাকে আপনার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।
3. পর্যালোচনা:
নিয়মিত আপনার লক্ষ্য পর্যালোচনা করুন। এটি আপনাকে আপনার অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে।
অতএব, objective বা লক্ষ্য স্থির করা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের জীবনকে গঠন করে এবং আমাদের উদ্দেশ্য অর্জনে সহায়ক হয়।