Phishing কি ?

ফিশিং হল একটি প্রতারণামূলক পদ্ধতি যা সাইবার অপরাধীরা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার জন্য ব্যবহার করে। সাধারণত, তারা একটি বিশ্বাসযোগ্য সংস্থার মতো দেখায়, যেমন ব্যাংক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অনলাইন পরিষেবা, এবং ব্যবহারকারীদের তাদের লগইন তথ্য, ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ বা অন্যান্য সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করতে প্ররোচিত করে।

ফিশিং এর বিভিন্ন ধরন

ফিশিং সাধারণত বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা হয়। এখানে কিছু প্রধান ধরন উল্লেখ করা হলো:

  1. ইমেল ফিশিং: এটি সবচেয়ে প্রচলিত ফিশিং পদ্ধতি। অপরাধীরা ব্যবহারকারীদের কাছে এক বা একাধিক ইমেল পাঠায় যা একটি আপাতদৃষ্টিতে বৈধ সংস্থার কাছ থেকে এসেছে বলে মনে হয়। এই ইমেলে একটি লিঙ্ক থাকে যা ক্লিক করলে ব্যবহারকারী একটি নকল ওয়েবসাইটে চলে যায়।

  2. স্মার্টফোন ফিশিং (স্মিশিং): এখানে অপরাধীরা টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের লক্ষ্যবস্তু করে। তারা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন লিঙ্কে ক্লিক করতে বা ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করতে প্রলুব্ধ করে।

  3. ভয়েস ফিশিং (ভিশিং): এই পদ্ধতিতে অপরাধীরা ফোনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়ার চেষ্টা করে।

ফিশিং থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

ফিশিং প্রতারণার শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

  • লিঙ্ক যাচাই করুন: যে কোনো লিঙ্কে ক্লিক করার আগে, নিশ্চিত হন যে এটি আসল এবং নিরাপদ।
  • ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না: কোনো সংস্থার মাধ্যমে ফোন বা ইমেলে ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হলে সতর্ক থাকুন।
  • অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন: আপনার ডিভাইসে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকলে এটি অনেক ফিশিং আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে।
  • দুই-স্তরের প্রমাণীকরণ ব্যবহার করুন: এটি আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়ানোর একটি কার্যকর উপায়।

ফিশিং এর বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সচেতনতা। ফিশিং সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সাইবার নিরাপত্তার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। যদি আপনি ফিশিংয়ের শিকার হন, অবিলম্বে আপনার ব্যাংক বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং তাদেরকে বিষয়টি জানিয়ে দিন।

ফিশিং প্রতারণা আমাদের ডিজিটাল জীবনের একটি গুরুতর হুমকি, তাই আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং আমাদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে হবে।

Leave a Comment