পাইলস, যা সাধারণত হেমোরয়েডস নামেও পরিচিত, একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় অবস্থা। এটি ঘটে যখন মলদ্বার এবং গুদে রক্তনালীগুলি ফুলে যায় এবং স্ফীত হয়ে যায়। পাইলস দুটি প্রধান ধরনের হতে পারে: বাইরের পাইলস, যা মলদ্বারের বাইরের দিকে থাকে এবং ভিতরের পাইলস, যা মলদ্বারের অভ্যন্তরে থাকে। এই অবস্থার জন্য সাধারণত প্রচুর অস্বস্তি, জ্বলন, এবং কখনও কখনও রক্তপাত হতে পারে।
পাইলসের কারণসমূহ
পাইলসের জন্য কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে, যেমন:
- মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ: দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা বা কঠিন মলত্যাগের কারণে চাপ সৃষ্টি হয়।
- গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায় হরমোন পরিবর্তনের ফলে এবং গর্ভের চাপের কারণে পাইলস হতে পারে।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: ফাইবারের অভাব বা অতিরিক্ত প্রসেসড খাবার খাওয়া।
- বয়স: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তনালীর শক্তিশালীকরণ কমে যায়।
পাইলসের লক্ষণ
পাইলসের লক্ষণ সাধারণত নিচের মতো হতে পারে:
- যন্ত্রণাদায়ক জ্বালা: মলত্যাগের সময় বা পরে।
- রক্তপাত: মলদ্বার থেকে রক্তপাত হতে পারে।
- স্ফীতি: মলদ্বারের আশেপাশে বা ভিতরে স্ফীত অংশ।
পাইলসের চিকিৎসা
পাইলসের চিকিৎসা বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা যেতে পারে:
- ঘরোয়া প্রতিকার: উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাদ্য, প্রচুর জল পান করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম।
- ঔষধ: জ্বালা কমানোর জন্য ক্রিম বা পিল ব্যবহার করা যেতে পারে।
- চিকিৎসা পদ্ধতি: গুরুতর ক্ষেত্রে, লেজার চিকিৎসা, স্ক্লেরোথেরাপি বা সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
পাইলস প্রতিরোধের উপায়
পাইলস প্রতিরোধের জন্য নিচের কিছু টিপস:
- প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যুক্ত খাবার খান।
- পর্যাপ্ত জল পান করুন।
- নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।
- মলত্যাগের সময় চাপ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকুন।
পাইলস একটি সাধারণ সমস্যা হলেও সঠিক যত্ন এবং চিকিৎসার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যদি উপসর্গগুলি গুরুতর হয়ে যায়, তবে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।