Plasma glucose কি ?

প্লাজমা গ্লুকোজ হল রক্তের মধ্যে গ্লুকোজের (শর্করা) পরিমাণ। এটি আমাদের শরীরের শক্তির প্রধান উৎস এবং শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্লুকোজ আমাদের খাবার থেকে প্রাপ্ত হয় এবং এটি আমাদের কোষগুলিতে পৌঁছানোর জন্য ইনসুলিনের প্রয়োজন হয়। ইনসুলিন হল একটি হরমোন যা প্যানক্রিয়াস (অগ্ন্যাশয়) দ্বারা উৎপন্ন হয়।

প্লাজমা গ্লুকোজের মাত্রা কি নির্দেশ করে?

প্লাজমা গ্লুকোজের মাত্রা আমাদের শরীরের মেটাবলিজমের স্বাস্থ্য এবং গ্লুকোজ ব্যবহারের ক্ষমতার একটি সূচক। এর মাধ্যমে ডায়াবেটিস, গ্লুকোজ অপর্যাপ্ততা, বা অন্যান্য মেটাবলিক সমস্যা নির্ধারণ করা যেতে পারে।

প্লাজমা গ্লুকোজের স্বাভাবিক মাত্রা

স্বাভাবিক অবস্থায়, একটি ব্যক্তির প্লাজমা গ্লুকোজের মাত্রা সাধারণত 70 থেকে 100 মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার (mg/dL) এর মধ্যে থাকে। তবে, খাবার খাওয়ার পর এই পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

গ্লুকোজ পরীক্ষার প্রকারভেদ

প্লাজমা গ্লুকোজের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়:

  1. ফাস্টিং গ্লুকোজ পরীক্ষা: এই পরীক্ষায় রোগীকে 8-12 ঘণ্টা কিছু না খাওয়ার পর রক্তের নমুনা নিয়ে গ্লুকোজের স্তর পরীক্ষা করা হয়।
  2. র্যান্ডম গ্লুকোজ পরীক্ষা: যে কোনও সময়ে রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়, এটি সাধারণত ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দিলে করা হয়।
  3. ওরাল গ্লুকোজ টোলারেন্স টেস্ট: এই পরীক্ষায় প্রথমে ফাস্টিং গ্লুকোজ পরীক্ষা করা হয়, তারপর রোগীকে গ্লুকোজের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পান করতে দেয়া হয় এবং কিছু সময় পর আবার রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।

গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি এবং হ্রাসের প্রভাব

প্লাজমা গ্লুকোজের মাত্রা যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তবে এটি ডায়াবেটিসের সংকেত হতে পারে। অন্যদিকে, যদি গ্লুকোজের মাত্রা খুব কম হয়, তবে এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়া (গ্লুকোজের অভাব) সৃষ্টি করতে পারে, যা শরীরের জন্য বিপজ্জনক।

উপসংহার

প্লাজমা গ্লুকোজ আমাদের স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। নিয়মিত গ্লুকোজ পরীক্ষা এবং সুস্থ জীবনযাপন এর মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Comment