স্লাম হলো একটি নগরাঞ্চলে অবস্থিত অস্থায়ী বা নিম্নমানের আবাসিক এলাকা, যেখানে সাধারণত দরিদ্র মানুষ বাস করে। স্লাম অঞ্চলগুলোতে অবকাঠামোগত সুবিধার অভাব, যেমন পরিষ্কার পানির উৎস, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব দেখা যায়।
স্লামের বৈশিষ্ট্য
স্লাম অঞ্চলের কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো:
- অবকাঠামোগত দুর্বলতা: স্লামগুলোতে বাড়িগুলি সাধারণত অস্থায়ী এবং অস্বাস্থ্যকর উপকরণ দিয়ে নির্মিত হয়।
- দারিদ্র্য: স্লাম অঞ্চলের বাসিন্দারা সাধারণত অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল এবং তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
- স্বাস্থ্য সমস্যা: অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে স্লামগুলিতে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন সংক্রামক রোগের বিস্তার ঘটে।
স্লামের কারণ
স্লাম গঠনের পেছনে কিছু মৌলিক কারণ রয়েছে:
- শহুরে অভিবাসন: অনেক মানুষ গ্রাম থেকে শহরে আসে কাজের সন্ধানে, কিন্তু পর্যাপ্ত আবাসনের অভাবে স্লামে বাস করতে বাধ্য হয়।
- অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা: অর্থনৈতিক সংকটের সময়, অনেকেই চাকরি হারায় এবং তাদের আয় হ্রাস পায়, ফলে স্লামে বসবাস করতে বাধ্য হয়।
- সরকারি নীতির অভাব: স্লাম উন্নয়নে কার্যকরী সরকারি নীতির অভাবও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
স্লামের প্রভাব
স্লাম এলাকাগুলির সমাজ এবং অর্থনীতিতে বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে:
- সামাজিক অস্থিরতা: স্লামের বাসিন্দাদের মধ্যে অপরাধমূলক কার্যকলাপ বাড়তে পারে, যা সামগ্রিক সামাজিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে।
- স্বাস্থ্য ঝুঁকি: স্লামের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়, যা সমাজে ব্যাপক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- শিক্ষা অভাব: স্লামে সাধারণত শিক্ষার সুযোগ কম থাকে, ফলে ভবিষ্যত প্রজন্মের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
উপসংহার
স্লাম একটি জটিল সামাজিক সমস্যা, যার সমাধান করতে হলে সরকারের নীতি, সমাজের সহযোগিতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে স্লাম উন্নয়ন এবং বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নত করা সম্ভব।