STP বা Segmenting, Targeting, and Positioning হল একটি মার্কেটিং কৌশল যা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের পণ্যের বাজারে স্থান নির্ধারণ এবং তাদের লক্ষ্য গ্রাহকদের চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। STP প্রক্রিয়া তিনটি প্রধান পর্যায়ে বিভক্ত:
Segmenting (বিভাজন): এখানে বাজারকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করা হয়। এই অংশগুলি সাধারণত গ্রাহকদের চাহিদা, পছন্দ, আচরণ, এবং ডেমোগ্রাফিক তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি ফোন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন গ্রাহক গোষ্ঠী যেমন “যুবক”, “কর্মজীবী”, এবং “বৃদ্ধ” এর উপর ভিত্তি করে তাদের বাজারকে বিভক্ত করতে পারে।
Targeting (লক্ষ্য নির্ধারণ): এই পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি তাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এবং লাভজনক ভাগগুলিকে চিহ্নিত করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি কোম্পানি মনে করে যে যুবক গোষ্ঠী তাদের পণ্যের জন্য সবচেয়ে লাভজনক, তাহলে তারা তাদের প্রচারণা এবং বিপণন কৌশল এই গোষ্ঠীর দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করবে।
Positioning (অবস্থান নির্ধারণ): এই পর্যায়ে, প্রতিষ্ঠানটি তাদের পণ্য বা সেবার জন্য একটি বিশেষ স্থান তৈরি করে যা তাদের লক্ষ্য গ্রাহকদের মধ্যে আকর্ষণীয় হবে। এটি তাদের ব্র্যান্ডের পরিচিতি ও বাজারে তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করে।
STP পদ্ধতির সুবিধা
১. অধিক কার্যকরী বিপণন কৌশল: STP পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের বিপণন প্রচারণাকে অধিক কার্যকরী ও লক্ষ্যভিত্তিক করতে পারে।
২. গ্রাহক সন্তুষ্টি বৃদ্ধি: যখন প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের পণ্য বা সেবা গ্রাহকদের নির্দিষ্ট চাহিদার উপর ভিত্তি করে তৈরি করে, তখন গ্রাহকদের সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পায়।
৩. প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা: STP পদ্ধতি কোম্পানিগুলিকে তাদের প্রতিযোগীদের তুলনায় আলাদা করতে সাহায্য করে, যা বাজারে তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করে।
STP কৌশলের বাস্তবায়ন
STP কৌশল বাস্তবায়নের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ রয়েছে:
- গবেষণা: বাজারের গবেষণা করে বিভিন্ন গ্রাহক গোষ্ঠীর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা।
- ডেটা বিশ্লেষণ: সংগৃহীত ডেটাকে বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন সেগমেন্ট তৈরি করা।
- কৌশল প্রস্তুতি: নির্বাচিত লক্ষ্য গোষ্ঠীর জন্য কৌশল তৈরি করা।
- প্রচারণা: লক্ষ্য গোষ্ঠীর জন্য বিপণন প্রচারণা চালানো।
STP পদ্ধতি একটি কার্যকরী মার্কেটিং কৌশল, যা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের বাজারে সঠিকভাবে স্থান নির্ধারণ করতে এবং গ্রাহকদের সন্তুষ্টি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।