Super ego কি ?

সুপার ইগো (Super Ego) হল সিগমন্ড ফ্রয়েডের মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি মানুষের মনস্তাত্ত্বিক গঠনের তিনটি প্রধান উপাদানগুলির একটি, অন্য দুটি হল ইগো (Ego) এবং ইড (Id)। সুপার ইগোর কাজ হল নৈতিক মূল্যবোধ, সামাজিক নিয়ম এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পরিপূর্ণতা অর্জন করা।

সুপার ইগোর ভূমিকা

সুপার ইগো আমাদের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের মধ্যে যে নৈতিক সংবেদনশীলতা আছে তা গড়ে তোলে। এটি আমাদের মনে একটি অভ্যন্তরীণ সমালোচক হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের সিদ্ধান্ত এবং কাজগুলিকে মূল্যায়ন করে। এটি আমাদেরকে ভালো এবং খারাপের মধ্যে পার্থক্য করতে সাহায্য করে এবং আমাদের নৈতিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন রাখে।

সুপার ইগোর গঠন

সুপার ইগো সাধারণত শিশুদের শৈশবকাল থেকে গঠিত হয়, যখন তারা পরিবার এবং সমাজের নৈতিক এবং সামাজিক মানদণ্ড শিখে। এই প্রক্রিয়ায়, তারা তাদের অভিজ্ঞতা এবং পরিবেশের উপর ভিত্তি করে সুপার ইগো তৈরি করে। এর ফলে, তারা তাদের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা পায়।

সুপার ইগো এবং ইগো

সুপার ইগো এবং ইগো একসাথে কাজ করে। যেখানে ইগো বাস্তবতার সাথে সমন্বয় ঘটায় এবং চাহিদা পূরণের চেষ্টা করে, সুপার ইগো এটিকে নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যবেক্ষণ করে। উদাহরণস্বরূপ, ইডের চাহিদা পূরণের সময় সুপার ইগো আমাদেরকে সতর্ক করে যে কিছু কাজ নৈতিকভাবে সঠিক নয়।

সুপার ইগোর অস্বাস্থ্যকর প্রভাব

যদি সুপার ইগো অত্যধিক শক্তিশালী হয়ে যায়, তবে এটি ব্যক্তির মধ্যে উদ্বেগ, দোষবোধ এবং আত্মসমালোচনা বাড়িয়ে দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, ব্যক্তি তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে না এবং মানসিক চাপের শিকার হতে পারে।

অতএব, সুপার ইগো মানব মনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি আমাদের আচরণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।