Wan কি ?

WAN (Wide Area Network) হলো একটি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক যা বড় অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত, যেমন শহর, দেশ বা এমনকি মহাদেশ। এটি স্থানীয় নেটওয়ার্কের (LAN) তুলনায় অনেক বড় এবং সাধারণত বিভিন্ন LAN-এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। WAN-এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানীয় নেটওয়ার্ক, অফিস বা ডাটাসেন্টার ইন্টারনেট বা অন্য কোনো যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে একত্রিত হয়।

WAN-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য:

  1. বিস্তৃত অঞ্চল: WAN সাধারণত হাজার হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে, যা বিভিন্ন শহর বা দেশকে সংযুক্ত করে।

  2. যোগাযোগ মাধ্যম: WAN-এর জন্য বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা হয়, যেমন টেলিফোন লাইন, স্যাটেলাইট, ফাইবার অপটিক, এবং অন্যান্য প্রযুক্তি।

  3. নেটওয়ার্ক প্রটোকল: WAN-এর জন্য বিভিন্ন প্রটোকল ব্যবহার করা হয়, যেমন MPLS, Frame Relay, এবং IPsec।

WAN-এর সুবিধা:

  • দূরবর্তী সংযোগ: WAN ব্যবহার করে দূরবর্তী অফিস বা শাখাগুলোর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।

  • কেন্দ্রায়িত ব্যবস্থাপনা: WAN-এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানীয় নেটওয়ার্ককে একত্রিত করে কেন্দ্রায়িত তথ্য পরিচালনা করা সম্ভব।

  • শেয়ারিং রিসোর্স: WAN ব্যবহার করে বিভিন্ন অফিসের মধ্যে রিসোর্স শেয়ার করা যায়, যেমন ডেটাবেস, সার্ভার ইত্যাদি।

WAN-এর উদাহরণ:

  • ইন্টারনেট: বিশ্বের সবচেয়ে বড় WAN, যা কোটি কোটি ডিভাইসকে সংযুক্ত করে।

  • VPN (Virtual Private Network): নিরাপদভাবে দূরবর্তী অফিসগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়।

উপসংহার:

WAN প্রযুক্তি আধুনিক যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য তথ্যের দ্রুত প্রবাহ ও সংযোগ স্থাপন করে। WAN-এর মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনো কোণ থেকে তথ্য ও সংযোগের সুবিধা পাওয়া যায়, যা বর্তমান যুগে অপরিহার্য।

Leave a Comment