পিরিয়ড না হলে বা মাসিক না হওয়ার কয়েকটি কারণ থাকতে পারে, যেমন হরমোনের অস্বাভাবিকতা, স্ট্রেস, ওজনের পরিবর্তন, গর্ভাবস্থা, অথবা স্বাস্থ্য সমস্যা। এর সঙ্গে সঠিক খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
পিরিয়ড না হলে কী খাবেন
১. সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, ব্রোকলি, এবং অন্যান্য সবুজ শাক সবজি আয়রন ও ভিটামিনের ভালো উৎস, যা পিরিয়ডের স্বাভাবিক কার্যক্রমে সহায়তা করতে সাহায্য করে।
২. ফল: যেমন জাম, কলা, কমলা বা মিষ্টি আপেল। এগুলোতে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার থাকে যা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
৩. স্ন্যাকস: বাদাম এবং শুকনো ফল, যেমন কিসমিস এবং খেজুর, স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে উপকারী। এইগুলো শরীরে শক্তি যোগায় এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৪. প্রোটিন: দুধ, দই, মাংস, মাছ, দাল ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান, যা শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৫. জীবশ্রাব্য চর্বি: আভোকাডো, অলিভ অয়েল এবং বাদাম জাতীয় খাবার খাওয়া বড় ধরনের ভাল।
৬. হরমোন সমৃদ্ধ খাবার: শাঁসযুক্ত খাবার (যেমন সয়াবিন) গ্রহণ করুন, যা হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।
যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন
১. চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার: এগুলো হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত করতে পারে।
২. ফাস্ট ফুড: তৈলাক্ত এবং অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার এড়ানো উচিৎ।
৩. কফি এবং ক্যাফেইন: এটি শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে এবং পিরিয়ড নিয়ন্ত্রণে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ
যদি প্রচুর দিন পিরিয়ড না হয় বা এতে উদ্বেগ থাকে, তবে একজন গাইনোকোলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।