বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি হল একটি সংখ্যা পদ্ধতি যেখানে মাত্র দুটি অংক ব্যবহৃত হয়: 0 এবং 1। এটি প্রাথমিকভাবে কম্পিউটার এবং ডিজিটাল সার্কিটের মধ্যে তথ্য উপস্থাপন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। বাইনারি পদ্ধতিতে সংখ্যা সমূহের ভিত্তি ২, অর্থাৎ প্রতিটি ডিজিটের মান ২-এর পাওয়ার হিসেবে গণনা করা হয়।
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির কিছু মূল বৈশিষ্ট্য:
1. বেস ২: বাইনারি পদ্ধতির ভিত্তি ২। এর মানে হলো, সংখ্যা প্রকাশে শুধুমাত্র ০ এবং ১ এর ব্যবহার হয়।
- প্রতীক: বাইনারি নম্বরগুলোকে “বিট” (bit) বলা হয়। একটি বিট একটি বাইনারি ডিজিট (০ বা ১)।
- কম্পিউটার সিস্টেম: কম্পিউটার সিস্টেমগুলো প্রধানত বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে কাজ করে কারণ তারা ইলেকট্রনিক সুইচ ব্যবহার করে, যা দুইটি অবস্থায় (অন/অফ) থাকতে পারে।
- সংখ্যা রূপান্তর: দশমিক (decimal) সংখ্যা থেকে বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তরের জন্য, সংখ্যাটিকে ২ দিয়ে ভাগ করে, বাকি (remainder) নোট করতে হয় এবং পরে সবগুলোর উল্টো (reverse) সাজাতে হয়।
উদাহরণ:
দশমিক সংখ্যা 13 কে বাইনারিতে রূপান্তর করলে:
– 13 ÷ 2 = 6, remainder 1
– 6 ÷ 2 = 3, remainder 0
– 3 ÷ 2 = 1, remainder 1
– 1 ÷ 2 = 0, remainder 1
এখন, রিমেইন্ডারগুলো উল্টো সাজালে, আমরা পাই 1101, যা হচ্ছে বাইনারি সংখ্যা 13।
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির উপযোগিতা:
– তথ্য প্রক্রিয়াকরণ: কম্পিউটারগুলি বাইনারি পদ্ধতি ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়া করে।
– ডিজিটাল যন্ত্রপাতি: বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ডিজিটাল যন্ত্রপাতির কার্যক্রমে মৌলিক ভূমিকা পালন করে।
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি আজকাল প্রযুক্তির মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে এবং এটি বিভিন্ন ক্ষেত্র, যেমন কম্পিউটার বিজ্ঞান, রোবোটিক্স, এবং নেটওয়ার্কিংয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে।