যে প্রথম ঘড়ি আবিষ্কার করেছিল, সে কিভাবে জানত তখন কয়টা বাজে?

কোন কায়দা করে বিশ্বের সকল ঘড়ি ধ্বংস করে ফেলুন। দুনিয়াতে কোন ঘড়ি থাকবে না। এখন কয়টা বাজে, সেটা ঘড়ি দেখে বলতে পারবেন না। দুনিয়াতে কোথাও কোন ঘড়ি নেই। তেমন পরিস্থিতি হলে, সময় কি থেমে যাবে? না, সময় থামবে না। ঘড়ি না থাকলেও সময় চলবে, চলতেই থাকবে। ঠিক তেমনি, ঘড়ি আবিষ্কার হবার আগেও সময় ছিলো।

বাটখারা জিনিসটা চেনেন? দাড়িপাল্লাতে মাপার জন্য, একপাশে লোহার যে ওজনটি রাখে, ওটাকে বাটখারা বলে। প্রথম যে লোকটি বাটখারা বানিয়েছে, সে কিভাবে ওটার ওজন মেপেছিল? কিভাবে বুঝেছিল যে ওটার ওজন এক কেজি? তখন তো দুনিয়াতে অন্যে কোন বাটখারা ছিল না।

যে লোকটা প্রথম বাটখারা বানিয়েছে, সে তার ইচ্ছা মতন, যে কোন একটি ওজনকে এক কেজি নাম দিয়েছে। তারপরে, আমরা সবাই সেটুকু ওজনকে এক কেজি মেনে নিয়েছি।

ঘড়ির ব্যাপারেও তেমন হয়েছে। যে সময় গননা বানিয়েছে, সে তার ইচ্ছা মতন একটি সময়কে “১টা বাজে” নাম দিয়েছে। আমরা সবাই সেটা মেনে নিয়েছি। এর পরে, সেই অনুসারে ঘড়ি দিয়ে সময় গণনা চলে।

Leave a Comment