রক্তে IgE (ইমিউনোগ্লোবুলিন ই) একটি বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি যা আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি মূলত অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া এবং কিছু সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। যখন আমাদের শরীরে অ্যালার্জেন (যেমন ধূলা, পোলেন, পেটের জীবাণু, ইত্যাদি) উপস্থিত হয়, তখন IgE উৎপন্ন হয় এবং এটি আমাদের শরীরে বিভিন্ন প্রতিরক্ষা প্রক্রিয়া শুরু করে।
IgE এবং অ্যালার্জি
IgE-এর প্রধান ভূমিকা হলো অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা। যখন কোন অ্যালার্জেন শরীরে প্রবেশ করে, তখন IgE অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এই অ্যান্টিবডিগুলি মাস্ট সেল এবং বেসোফিল নামে পরিচিত শ্বেত রক্তকণুর সাথে যুক্ত হয়ে অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া শুরু করে। এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে হিস্টামিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ মুক্ত করে, যার ফলে অ্যালার্জির লক্ষণগুলি প্রকাশ পায় যেমন:
- চুলকানি
- ফুলে যাওয়া
- নাক বন্ধ হওয়া
- শ্বাসকষ্ট
IgE এর স্তর এবং পরীক্ষা
রক্তে IgE-এর স্তর বিভিন্ন মানুষের মধ্যে ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, অ্যালার্জিক ব্যক্তিদের রক্তে IgE-এর স্তর বেশি থাকে। IgE-র স্তর পরিমাপ করার জন্য একটি রক্তের পরীক্ষা করা হয়, যা Total IgE Test নামে পরিচিত। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তাররা অ্যালার্জির কারণ নির্ণয় করতে এবং সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে সক্ষম হন।
চিকিৎসা এবং পরিচালনা
যদি আপনার IgE স্তর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং অ্যালার্জির সমস্যা তৈরি করে, তাহলে চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া জরুরি। চিকিৎসা পদ্ধতি সাধারণত অ্যালার্জির লক্ষণগুলি পরিচালনা করার জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন, কোর্টিকোস্টেরয়েড এবং অ্যালার্জি ইমিউনোথেরাপি অন্তর্ভুক্ত করে।
সারসংক্ষেপ
রক্তে IgE একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবডি যা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এর স্তর বাড়লে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে, তাই সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। যেকোনো অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা বুদ্ধিমানের কাজ।