shabe mehraj

শবে মেরাজ বা মেরাজ রাতটি ইসলামের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র রাত। এই রাতে ইসলামের শেষ নবী এবং রাসূল মুহাম্মদ (সা.) স্বর্গে গমন করেন এবং আল্লাহর সাথে বিশেষ সাক্ষাৎ করেন। এই ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে মেরাজ নামে পরিচিত।

মেরাজের ঘটনাক্রম:

  1. ইসরা: মেরাজ শুরু হয় ইসরা দিয়ে, যখন জিবরাইল (অ.স.) এর সহায়তায় মুহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে মধ্যরাতে বায়তুল মুকাদ্দিস বা আল আকসা মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়। এটি প্রায় ৬২০ খ্রিষ্টাব্দে ঘটেছে বলে বিশ্বাস করা হয়।

  2. মেরাজ: আল আকসা মসজিদ থেকে তার স্বর্গারোহণ শুরু হয়, যেখানে তিনি সপ্ত আকাশ পেরিয়ে আল্লাহর দরবারে পৌঁছান। এই যাত্রায় তিনি বিভিন্ন আকাশে বিভিন্ন নবীর সাথে সাক্ষাৎ করেন, যেমন আদম (আ.), ইব্রাহিম (আ.), মুসা (আ.), ঈসা (আ.) ইত্যাদি।

  3. আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ: সপ্ত আকাশ পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা নামে একটি স্থানে পৌঁছেন, যেখানে আল্লাহর সাথে তাঁর বিশেষ সাক্ষাৎ হয়। এই সাক্ষাতের মাধ্যমে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মুসলমানদের ওপর ফরয করেন।

মেরাজের গুরুত্ব:

  • বিশ্বাসের স্ট্রength: মুসলমানদের মধ্যে বিশ্বাস ও ঈমান আরও শক্তিশালী করে।
  • নামাজের বিধান: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান এই রাতেই ফরয হয় যা প্রতিটি মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
  • আধ্যাত্মিক উন্নতি: শবে মেরাজ মুসলমানদের আধ্যাত্মিক উন্নতির রাত হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। এই রাতে মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগি, কুরআন তেলাওয়াত এবং দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার চেষ্টা করে।

উদযাপন:

  • ইবাদত: এই রাতে মুসলিমরা বিশেষ ইবাদত করে থাকেন। সালাত আদায়, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির, দোয়া-মুনাজাত করা হয়।
  • ধর্মীয় আলোচনাসভা: মসজিদ ও সমাবেশে ধর্মীয় আলোচনা ও ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করা হয়, যেখানে মেরাজের গুরুত্ব ও ঘটনাক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।

চন্দ্র হিজরী:

শবে মেরাজের নির্দিষ্ট রাতটা চন্দ্র হিজরী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৭ই রজব।

Leave a Comment